Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home স্বর্ণ বিক্রির সময় যেকারণে দাম কেটে রাখা হয়
    অর্থনীতি-ব্যবসা

    স্বর্ণ বিক্রির সময় যেকারণে দাম কেটে রাখা হয়

    Soumo SakibJuly 2, 2024Updated:July 2, 20249 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে বছর বছর স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে অনেকেই স্বর্ণ কিনে জমিয়ে রাখেন ভবিষ্যতে বিক্রি করে লাভ করার আশায়। স্বর্ণ বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হয়। আর এসব নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত দেওয়া হলো-

    দেশটির স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর তথ্যমতে, বর্তমানে পুরনো স্বর্ণ বিক্রির ক্ষেত্রে বর্তমান ওজন থেকে ১৫ শতাংশ ওজন বাদ দিয়ে দাম ধরা হয়েছে।

    এদিকে কেউ যদি স্বর্ণ বিনিময় করতে চান অর্থাৎ পুরনো স্বর্ণ দিয়ে নতুন স্বর্ণ কিনতে চান তাহলে ওই পুরনো স্বর্ণের ১০ শতাংশ ওজন বাদ দিয়ে যে দাম থাকে, ওই দামের নতুন স্বর্ণ নেওয়া যাবে।

    এই ১৫ শতাংশ বা ১০ শতাংশ কর্তনের বাইরে কেনার সময় দেওয়া মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাবদ যে মূল্য পরিশোধ হয়েছে সেটাও বাদ যাবে।

    এ ব্যাপারে বাজুসের সাবেক সভাপতি এবং বাংলা গোল্ড প্রাইভেট লিমিটেডের লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক খান বলেছেন, “ভ্যাটের ক্ষেত্রে আপনি যেটা পরিশোধ করেছেন, আনুমানিক স্বর্ণের দামের পাঁচ শতাংশ কাটা যাবে। কারণ সেটা আমরা নেইনি। এটা সরকার নিয়েছে।”

    “আর মজুরির হার একেক গহনার ক্ষেত্রে একেক রকম। সাধারণত ছয় শতাংশ মজুরি হিসেবে কাটা যায়। নকশা ভেদে এটা ১০ শতাংশও হতে পারে।”

    মূলত স্বর্ণের দোকানগুলোর পরিচালনা খরচ, সরকারের কর, দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, লাইটিং, স্বর্ণ প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ, কারিগরের খরচ, স্বর্ণ নকশা করতে গেলে কিছু ক্ষয় হয় এমন বিভিন্ন আনুষঙ্গিক খরচ এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লাভ এই মজুরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে।

    সেইসাথে মিনাকারী করা গহনা হলে বিক্রির সময় মিনার ওজনও বাদ যাবে।

    অনেক সময় স্বর্ণ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বক, ঘাম, বাইরের আবহাওয়া, পানি-বাতাস, এসিড এমন নানা কিছুর সংস্পর্শে ক্ষয়ে যায়। এবং আগে যত ওজন ছিল, তার চেয়ে ওজন কমে যায়।

    তবে মাঝে মাঝে অল্প সময়ের জন্য গয়না পরলে ওজনে তারতম্য হয় না।

    এই মূল্য কর্তনের হিসাব ২২ , ২১ ও ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে সনাতন স্বর্ণের দামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

    তবে কিছু কিছু দোকান কোনও কর্তন ছাড়াই তিন দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ বা বদলে নেওয়ার সুযোগ রাখে।

    বাজুসের সাবেক সহ সভাপতি, বর্তমান সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল অবশ্য জানিয়েছেন, “একেকজন একেকভাবে কর্তন করছে। বাজুস হওয়ার পর থেকে ১৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ কর্তনের নিয়ম মেনে আসছিল। মাঝে তা ১৩ শতাংশ ও নয় শতাংশ হয়েছে। বর্তমানে আবার ১৫ শতাংশ ১০ শতাংশ।”

    এক্ষেত্রে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও স্বর্ণ কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতা যাচাই ও দাম নির্ধারণ ক্যারেট অনুযায়ী হয়।

    বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশটিতে স্বর্ণের চারটি মান রয়েছে। যথাক্রমে ১৮, ২১, ২২ ও ২৪ ক্যারেট। যত বেশি ক্যারেট স্বর্ণ তত বেশি বিশুদ্ধ।

    স্বর্ণের এই মান ভেদে বাংলাদেশে এর দাম নির্ধারণ করে থাকে বাজুস। সেইসাথে পুরনো স্বর্ণ বিক্রির দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

    স্বর্ণ বিক্রি করতে গেলে সবার আগে পরীক্ষা করে দেখা হয় এতে কী পরিমাণ খাঁটি স্বর্ণ আছে আর কী পরিমাণ খাদ।

    এক্ষেত্রে যিনি বিক্রি করবেন, তার উচিত হবে নির্ভরযোগ্য গহনার দোকানে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই করে প্রকৃত দাম জেনে লেনদেন করা।

    এক সময় কষ্টিপাথর দিয়ে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা পরিমাপ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে স্বর্ণ নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষাগারে একাধিক যন্ত্রের সাহায্যে পাঁচ ধাপে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই করা হয়।

    প্রথমে বিক্রি করতে আনা স্বর্ণটি এক্স-রে করে প্রাথমিক ধারণা নেওয়া হয়। তারপর এর বিভিন্ন অংশ থেকে নমুনা নিয়ে সেটি গলিয়ে বা ফায়ার টেস্ট করে পরীক্ষা করা হয়।

    তারপর মাইক্রো ব্যালেন্স মেশিনে ওজন করে নির্ণয় করা হয় কতটুকু বিশুদ্ধ স্বর্ণ আছে। এছাড়া হলমার্ক পদ্ধতিও গহনার বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের সরকার নির্দেশিত আধুনিক মাধ্যম।

    বাজুসের সাবেক সহ সভাপতি দিলীপ কুমার আগারওয়াল জানান, হলমার্ক হলো এই গহনায় কতটা বিশুদ্ধ স্বর্ণ আছে তা খোদাই করে লিখে দেওয়া।

    স্বর্ণ যত ক্যারেট হয় সেটা কোম্পানির লোগো ও কোড নম্বরসহ ওই গহনায় খোদাই করে বা লেজার দিয়ে মার্কিং করে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র বাজুসের অনুমোদিত সদস্যরা সরকারের লাইসেন্সের প্রেক্ষিতে এই মার্কিং করতে পারে।

    তাই কারও যদি স্বর্ণ হলমার্ক করা থাকে তাহলে সেটি দেশে বিদেশে কোথাও বিক্রি করতে গেলে তার আর প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

    এভাবে ক্যারেট নিশ্চিত হওয়ার পর সেটা ওজন করে নির্দিষ্ট অংশ কর্তন করে বর্তমান বাজার দাম হিসাব করে লেনদেন সম্পন্ন করা হয়।

    কোন স্বর্ণ বিক্রিতে কত টাকা?
    সাধারণত ২৪ ক্যারেট বলতে নিখাদ স্বর্ণ বোঝায়। বাংলাদেশে বর্তমানে যত স্বর্ণের গহনা বিক্রি হয় সেগুলোর বেশিরভাগই ২২, ২১ বা ১৮ ক্যারেটের।

    বাজুসের তথ্য মতে, ২২ ক্যারেটের এক ভরি গহনায় বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে ১৪ আনা দুই রতি (৯১ দশমিক ছয় শতাংশ)। ২১ ক্যারেটে ১৪ আনা (৮৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ) এবং ১৮ ক্যারেটে পাওয়া যায় ১২ আনা (৭৫ শতাংশ) বিশুদ্ধ স্বর্ণ।

    আরও সহজ করে বললে ২২ ক্যারেটে খাদ আছে নয় শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ১২ শতাংশ এবং ১৮ ক্যারেটে খাদের পরিমাণ ২৫ শতাংশ।

    কিন্তু বিক্রির ক্ষেত্রে এই সব ধরণের স্বর্ণের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ওজন বাদ যাবে সেক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষতিতে পড়বেন ২২ ক্যারেট ও ২১ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি করা ভোক্তারা।

    এ ব্যাপারে খান জানান, “২২ ক্যারেটের গহনা তৈরিতে খরচ বেশি হয় সেটাই আমরা পুষিয়ে নেই। মূলত খাদের দামটাই কেটে রাখা হয়।”

    অন্যদিকে, সনাতন স্বর্ণের গহনায় বিশুদ্ধ স্বর্ণের পরিমাণ থাকে ১০ আনা বা তারও কম।

    সাধারণত এতে রুপা, তামা, দস্তাসহ নানা ধরনের খাদ অনেক বেশি মাত্রায় মেশানো থাকে। এ কারণে এসব গহনায় ক্যারেট হিসাব থাকে না। খাদের মাত্রা একেক রকম হয়। বিশুদ্ধতা কম ও অনির্দিষ্ট হওয়ায় সনাতন স্বর্ণ বিক্রির সময় শতাংশের হিসাব প্রযোজ্য হয় না।

    এ অবস্থায় সনাতন স্বর্ণ গলালেই বোঝা যায় এতে কতটুকু খাঁটি স্বর্ণ আছে। সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়।

    বাজুসের সাবেক সহ সভাপতি দিলীপ কুমার আগারওয়াল জানান, সনাতন স্বর্ণে ১২ থেকে ১৪ ক্যারেট থাকা উচিত। কিন্তু কখনও এতে নয় ক্যারেট থাকে, আবার কখনও ১৬ এমনকি ১৮ ক্যারেটও থাকতে পারে, কোন ঠিক নেই।

    যারা ২০০৫ সালের আগে স্বর্ণ কিনেছেন, তাদেরকে অনেক সময় ২২ ক্যারেট বলে সনাতন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন স্বর্ণ পরীক্ষা করার কিছু ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।

    স্বর্ণে এই অতিরিক্ত ও অনির্দিষ্ট খাদ থাকার কারণ হিসেবে বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান জানান, আগে স্বর্ণের গহনা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও নীতিমালা ছিল না। গহনার বিভিন্ন অংশকে তারা দস্তা গলিয়ে জোড়া দিতো। এভাবে স্বর্ণের মান ঠিক রাখা যেতো না।

    “কিন্তু এখন স্বর্ণের বিভিন্ন অংশ জোড়া দিতে ক্যাডমিয়াম পাইন ধাতু ব্যবহার হয়। এই ধাতু জোড়া দেওয়ার পর উড়ে যায়। এতে স্বর্ণের মানে পরিবর্তন আসে না, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ ২২ ক্যারেটই থাকে,” তিনি বলেন।

    স্বর্ণ বিক্রিতে লাভ আছে?
    স্বর্ণ শুধু গহনা হিসেবে নয় বরং আর্থিক নিরাপত্তা, ভবিষ্যতের সঞ্চয় এমনকি সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয়।

    সংকট পরিস্থিতিতে সাধারণত সবচেয়ে প্রথম প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজার, বন্ড ও মুদ্রার মূল্যে। স্বর্ণের বেলায় এমন ধস নামে না।

    সেইসাথে তেল ও গ্যাসের মতো স্বর্ণ ফুরিয়ে যায় না। নানা হাত ঘুরে তা শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতেই থাকে, অর্থাৎ স্বর্ণের স্থায়িত্ব আছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, “এটি এমন এক বিনিয়োগ যা কিনলে ও জমিয়ে রাখলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। তাই স্বর্ণ হয়ে ওঠে বিপদের বন্ধু”।আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্যের ওঠানামা, তেলের দাম বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা সংকটের কারণে স্বর্ণের দাম ওঠানামা করে।

    স্বর্ণে বিনিয়োগের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, স্বর্ণের দাম বাড়লে বা কমলে তাতে আকাশ-পাতাল ফারাক হয় না। ফলে এটি ঝুঁকিমুক্ত। সর্বশেষ ২০২৪ সালের পহেলা জুলাই নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা।

    একইভাবে ২১ ক্যারেট সোনার ভরি এক লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৯ হাজার ৩৩৮ টাকা।

    দুই যুগ আগে ২০০০ সালে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ছিল ছয় হাজার নয়শ টাকা। ২৪ বছর আগের সেই স্বর্ণ এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিলেও ১৪ গুণেরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে।

    আবার সনাতন স্বর্ণ বিক্রি করেও যথেষ্ট লাভের সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা। যারা ২০ বছর আগে সনাতন স্বর্ণ কিনেছেন, তারা এখন সেগুলো বিক্রি করতে গেলেও কয়েক গুণ বেশি দাম পাবেন।

    বাজুসের নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পুরনো স্বর্ণ কেউ যদি বিক্রি করতে চান, তাহলে তাকে ক্রয়ের রশিদ দিতে হবে। এবং যে প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ কিনবেন তাদের নিশ্চিত হতে হবে রশিদে উল্লেখিত প্রকৃত মালিক সেটা বিক্রি করছেন কি না।

    এ ব্যাপারে বাজুসের সাবেক সভাপতি জানিয়েছেন, যে দোকান থেকে স্বর্ণ কিনেছেন সেই দোকানে বিক্রির জন্য নিয়ে গেলে এবং স্বর্ণ কেনার রশিদ সাথে থাকলে কোনও ঝামেলা ছাড়াই অল্প সময়ে বিক্রি সম্পন্ন করতে পারবেন।

    কেননা, যে দোকান থেকে কিনেছেন তারা নিজেদের স্বর্ণ কতটা খাঁটি, এবং স্বর্ণে কী পরিমাণ খাদ রয়েছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখেন। এ কারণে স্বর্ণ কেনার পর এর রশিদ সাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    তবে বর্তমান নীতিমালার আওতায় ক্রয় রশিদ না থাকলে বা এক দোকানের স্বর্ণ অন্য দোকানে বিক্রি করলেও ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে, স্বর্ণ বিশুদ্ধ হলে দামে তারতম্য হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাজুসের সাবেক সহ সভাপতি দিলীপ কুমার আগারওয়াল।

    স্বর্ণ বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ম
    বাজুস ২০০৭ সালে একটি হলমার্ক বাধ্যতামূলক করে। হলমার্কের মাধ্যমে মূলত স্বর্ণের বিশুদ্ধতা খোদাই করে নিশ্চিত করা হয়।

    বাজার থেকে সনাতন স্বর্ণ এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ তুলে দিয়ে মানসম্মত ২২ ও ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ কেনাবেচায় উৎসাহিত করাও এর আরেকটি লক্ষ্য বলে জানান বাজুসের সম্পাদক মি. আগারওয়াল।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশে বার্ষিক সোনার চাহিদা ২০ থেকে ৪০ টন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ পুরনো অলংকার থেকে পূরণ হয়। বাকিটা ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে আসে।

    তবে অভিযোগ রয়েছে বিদেশ থেকে পাচার হয়ে অনেক স্বর্ণ বাজারে ঢুকছে। আবার বাসাবাড়ি থেকে স্বর্ণ চুরি যাওয়া বা স্বর্ণের দোকান থেকে লুটপাট হওয়া নতুন বিষয় নয়।

    এ ধরণের চুরি, ডাকাতি বা চোরাচালানের স্বর্ণ যাতে ক্রয় বিক্রয় করা না যায়, সেই লক্ষ্যে ২০২২ সালে একটি নির্দেশনা দিয়েছে বাজুস।

    সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কেউ পুরনো স্বর্ণ বা বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণ বিক্রি করতে গেলে বিক্রেতার জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের কপি সংরক্ষণ সেইসাথে আরও কিছু নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হবে যেন স্বর্ণের উৎসের ব্যাপারে পরিষ্কার থাকা যায়।

    এ ব্যাপারে এনামুল হক খান বলেন, “আপনার বাসা থেকে কেউ স্বর্ণ চুরি করে বিক্রি করতে এলো। এটা তো অপরাধ। সরকার চোরাই স্বর্ণ কেনার কোনও অনুমতি দেয়নি। চুরি রোধ করার জন্য বিক্রেতার পরিচয়পত্র, ছবি, নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর রাখতে বলা হয়েছে।”

    বাংলাদেশের প্যাসেঞ্জার ব্যাগেজ রুলস ২০১৬ অনুযায়ী, কর না দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় সর্বোচ্চ ১০০ গ্রামের স্বর্ণালঙ্কার আনতে পারবেন।

    এছাড়া একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম ওজনের সমপরিমাণ স্বর্ণের বার আনতে পারেন। এজন্য তাদের কাস্টমসে ঘোষণা দিতে হবে এবং স্বর্ণের বারের ক্ষেত্রে শুল্ক দিতে হবে। এর বেশি স্বর্ণ আনলেই সেটা অবৈধ বলে গণ্য হবে।

    এ ধরনের স্বর্ণ যদি কেউ বিক্রি করতে আসে তাহলে বিক্রেতার পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, এয়ারপোর্ট ডিক্লারেশন বা কর প্রদানের সার্টিফিকেট যাচাই করার কথা ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

    তবে এই নিয়ম কতটা মানা হয় সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাজুসের সাবেক সহ সভাপতি মি. আগারওয়াল।

    অনেকে স্বর্ণ বন্ধক রেখে ঋণও নেন, সেক্ষেত্রে ব্যাংকের মতো নিয়মিত সুদ পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ বন্ধক রাখতে পারে।

    বাংলাদেশ এবং ভারতের স্বর্ণের দাম: ০১ জুলাই, ২০২৪

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অর্থনীতি-ব্যবসা কেটে দাম, প্রভা বিক্রির যেকারণে রাখা সময়’: স্বর্ণ হয়,
    Related Posts
    digital banking

    ডিজিটাল ব্যাংকের মূলধনের শর্ত ৩০০ কোটি টাকা করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

    August 25, 2025
    hilsa

    ভরা মৌসুমেও ইলিশের সংকট, হু-হু করে বাড়ছে দাম

    August 24, 2025
    চালের বাজারে সু-খবর

    আসছে চালের বাজারে সু-খবর

    August 24, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Tamanna

    নতুন চমক নিয়ে আসছেন তামান্না ভাটিয়া

    Saudi

    পেনশন ও সঞ্চয় নিয়ে সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর

    Battery

    ১০০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের বেশি সক্ষমতার ব্যাটারি নিয়ে আসছে রিয়েলমি

    digital banking

    ডিজিটাল ব্যাংকের মূলধনের শর্ত ৩০০ কোটি টাকা করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

    NCP

    ৬৪ জেলার নেতাকর্মীদের যে বার্তা দিল এনসিপি

    india-bangladesh-and-pakistan

    বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ‘ঘনিষ্ঠতাকে’ উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে ভারত

    Nusrat Faria-Omar Sany

    নুসরাত ফারিয়াকে ‘গর্জিয়াস’ বলায় রেগে গেলেন ওমর সানী

    Australia

    ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

    Ananta Jalil

    সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা অনন্ত জলিলের

    Shrabanti Chatterjee

    হালকা সাজে সৌন্দর্যের ঝলক দেখালেন শ্রাবন্তী

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.