Zoom Bangla news
    Facebook Twitter Instagram
    Zoom Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Zoom Bangla news
    Home » স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী এক অকুতোভয়ী বীর নজিব উদ্দিন খান
    ইতিহাস শিক্ষামূলক গল্প

    স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী এক অকুতোভয়ী বীর নজিব উদ্দিন খান

    December 25, 20225 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক: বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এ মাসেই । স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

    নজিব উদ্দিন খান খুররম
    বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নজিব উদ্দিন খান খুররম

    বাঙালির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয়। এ মাসেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের সহযোগিতায় হানাদার গোষ্ঠী দেশের মেধাবি, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। সেই নরপিশাচ,নৃপুংসক পাক হানাদার বাহিনীর শোষণ-নিপীড়ন থেকে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষ নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। লাল-সবুজের আজকের এই বাংলাদেশ।

    মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী এমনই এক অকুতোভয়ী বীর নজিব উদ্দিন খান খুররম। যার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এদেশের মাটি। যিনি দেশ মাতৃকার জন্য জীবন দিয়ে দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি তার ভালবাসা প্রমাণ করেছেন। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এই অকুতোভয়ী বীর ১৯৫৩ সালে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার হোসেন নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আলাউদ্দিন খান। যিনি তৎকালীন পাকিস্তান জুন বোর্ডের পরিচালক ছিলেন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে খুররম ছিলেন চতুর্থ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও মেধাবী। পড়াশোনায় তো ভালো ছিলেনই, ছিলেন সমসয়য়িক বিষয়ে সজাগ এবং সচেতন। যা তাকে আলাদা বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল করে তুলেছিল সমবয়সী অন্যদের থেকে।

    ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র দেশ যখন উত্তাল হয়ে ওঠে তখন নজিব উদ্দিন খান খুররম ছিলেন ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের ছাত্র। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালালে তাদের নৃশংস হামলায় সেদিন অনেকেই শাহাদত বরণ করেন। ঐদিন রাতে খুররম ঢাকা কলেজের ছাদে লুকিয়ে সেই নরকীয় হত্যাযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছিলেন। যা তাঁকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছিলো। এরপর তিনি ঢাকা কলেজের সীমানা থেকে বের হয়ে পড়েন । শহরের অন্যান্য স্থানে তখনও কেবল লাশ। চারপাশে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে চিরচেনা সব ভবন আর মহামূল্যবান স্থাপনা। এসব দেখে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন খুররম।

    খুররম ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে বন্ধুবান্ধব, এলাকার সমবয়সী এবং সহোদর ভাই এনায়েত উদ্দিন মো. কায়সার খানের সঙ্গে সলাপরামর্শ করেন। যেই ভাবনা, সেই কাজ। ছোট ভাই এনায়েতউদ্দিন মোঃ কায়সার খানকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে নানার বাড়ি ভৈরবে চলে যান এবং সেখানেই তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন নাসিমের নেতৃত্বে ভৈরবের কে.ভি স্কুল মাঠে রেজিমেন্ট দলের সৈনিকদের সাথে প্রশিক্ষণে অংশ নেন। সেখানেই ভাগ্যক্রমে মামাতো ভাই বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সাক্ষাৎ পান। এরপর ১২ এপ্রিল ক্যাপ্টেন নাসিমের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ স্টেশনের দিকে অগ্রসরমান পাকবাহিনীর সৈন্যদের প্রতিহত করতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট দলের সদস্যদের সাথে ভৈরব ব্রিজ পার হয়ে তৎকালীন আশুগঞ্জ পাট গুদামে আশ্রয়ে নেন (রেল স্টেশনের পাশে)। আর সেখানেই প্রথম অস্ত্র হাতে পান খুররমসহ মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা। এভাবেই ঘটনার কথা বর্ণনা করেন খুররমের সহোদর ভাই ও সোনিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতউদ্দিন মোঃ কায়সার খান।

    তিনি বলেন, ১৫ এপ্রিল ভোরের আলো প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্যাবর জেট বিমান দিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাতে থাকে এবং সেইসঙ্গে ভারী অস্ত্রধারী সেনাদের হেলিকপ্টারে করে নামিয়ে দেয়। তখন ক্যাপ্টেন নাসিমের নেতৃত্বে পাকসেনাদের সাথে আমাদের তুমুল যুদ্ধ বেঁধে যায়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে চোখে গুলি লাগে আমাদের এক সহযোদ্ধার। তাকে নিয়ে আমি নদীর পাড় ঘেঁষে হেঁটে হেঁটে পাশের একটি গ্রামে গিয়ে উঠি। এর এক পর্যায়ে পাক বিমানবাহিনীর সদস্যরা চারদিক থেকে আমাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। সে সময় আমাদের কাছে বিমান ভূপাতিত করার মতো কোন অস্ত্র না থাকায় কৌশলগত কারণেই ক্যাপ্টেন নাসিম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট দলের সৈনিক এবং যুদ্ধরত মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পশ্চাদপদ করেন। ততক্ষণে হানাদার বাহিনীর নিক্ষিপ্ত বোমা ও বুলেটে খুররমসহ মুক্তিবাহিনীর অনেকেই শাহাদত বরণ করেন।

    কায়সার খান আরো বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় একটি বিস্ময়কর এবং ব্যতিক্রমী ঘটনা। যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর ত্যাগের ইতিহাস। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়ে একজন শহীদের পরিবার হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্নীতি, শোষণ-,নিপীড়ন মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীকাল পেরিয়েও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলাদেশ না হওয়ার দুঃখবোধ রয়েছে। তবে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত রাখতে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

    উল্লেখ্য যে, শহীদ এই বীর মুক্তিযোদ্ধা নজিব উদ্দীন খান খুররমের নামে বাংলাদেশ সরকার একটি স্মারক ডাকটিকিট উম্মোচন করে এবং এই শহীদের স্মৃতির সম্মানার্থে ঢাকা কলেজের একটি অডিটোরিয়ামের নামকরণও করা হয়। বড় ভাইয়ের স্মৃতির স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত উদ্দীন মো. কায়সার খাঁন তাঁর নিজ জেলার বেলাব উপজেলায় ২০১২ সালে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজিব উদ্দীন খাঁন কলেজ’ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া বেলাব উপজেলার হোসেন নগর গ্রামে ‘শহীদ নজিব উদ্দিন খান ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর গৃহহীনদের পুনর্বাসন, নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদানসহ গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

    এম আব্দুল মান্নান/জুমবাংলা

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



    bedbug killer
    অকুতোভয়ী আত্মোৎসর্গকারী ইতিহাস উদ্দিন এক খান গল্প নজিব নজিব উদ্দিন খান খুররম বীর শিক্ষামূলক স্বাধীনতাযুদ্ধে

    Related Posts

    এক শতাংশ চার্জেও ফোন কেন দীর্ঘক্ষণ চলে?

    March 25, 2023
    শাকিব খান

    সিনেমার মতো বাস্তবেও দেখালাম : শাকিব খান

    March 24, 2023
    বাজারে

    বাজারে এক দোকানে বেগুন ৫০, অন্য দোকানে ৭০ টাকা

    March 24, 2023
    ksrm
    সর্বশেষ খবর
    তাহসান কন্যা রাইসা

    চলচ্চিত্রে ‘রাজকীয়’ অভিষেক হচ্ছে তাহসান কন্যা রাইসার!

    হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড ফিচার

    অ্যান্ড্রয়েডের ফিচার ডেস্কটপে আনলো হোয়াটসঅ্যাপ

    ডিটিউব

    ইউটিউবের বিকল্প হতে চলেছে ডিটিউব?

    বিএনপি

    অবস্থান, মানববন্ধনসহ ২৪ দিনের কর্মসূচি দিল বিএনপি

    তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

    আসামির ছুরিকাঘাতে হাসপাতালে পুলিশ

    নিরাপদ পানির অভাব

    নিরাপদ পানি পাচ্ছে না বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ

    মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে: রাষ্ট্রদূতকে আয়না ও চুড়ি উপহার

    পাপন

    কালকে খেলা দেখার পর থেকে কাশি হচ্ছে : পাপন

    আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা






    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2023 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.