Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এ গ্রামটি
জাতীয়

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এ গ্রামটি

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কFebruary 10, 20243 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : সাগর-কিংবা স্রোতধারা নদীর অস্তিত্ব নেই, তবুও দ্বীপ গ্রাম হিসেবে পরিচিত যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ ছিল না গ্রামটির।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এ গ্রামটি

কিন্তু গ্রামবাসীর সহযোগিতায় অবশেষে সমাধান হতে যাচ্ছে শত বছরের এ সমস্যার। নিজেদের উদ্যোগে তৈরি দেশের দীর্ঘতম ভাসমান সেতুর মাধ্যমে এখন থেকে মানুষ ও যান চলাচল সম্ভব হবে এখানে। আগামীকাল শনিবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।

সিমেন্ট, বালু কিংবা লোহা নয়। প্লাস্টিকের খালি ব্যারেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রায় অর্ধকিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি।
গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এবং নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন ভাসমান এ সেতুটি, যা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী।

আর এতে উপকৃত হয়েছেন বন্যাকবলিত মশ্মিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা ও হাকিমপুরসহ পার্শ্ববর্তী তিনটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ।

পারখাজুরা-হাকিমপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে শতাধিক ব্যক্তির সহযোগিতায় নির্মিত হয় ১২শ ফুট দৈর্ঘ্যের ভাসমান এ সেতু। এর প্রস্থ ৯ ফুট। সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত হয় ১ হাজার ৪০০টি বড় আকারের প্লাস্টিকের ব্যারেল, যা সংযুক্ত রাখতে লোহার তার ব্যবহার করা হয়েছে।

ব্যারেলের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য দেওয়া হয় ১২শ ফুট দৈর্ঘ্যের লোহার পাত। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ভাসমান এ সেতুটি। যার পুরো অর্থই পারখাজুরা ও হাকিমপুর গ্রামবাসী দিয়েছে। যারা অর্থ সহযোগিতা করতে পারেননি, তারা স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণকাজে অংশ নেন।

পারখাজুরা বাঁওড় প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ বাঁওড়টি ঘিরে রেখেছে পারখাজুরা গ্রাম। যে গ্রামে বসবাস করে প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। কিন্তু দ্বীপ সদৃশ গ্রাম হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে।

অন্যান্য এলাকার সঙ্গে গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। ঝড়-বৃষ্টি কিংবা বৈরী আবহাওয়ায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমটিও প্রায়ই বন্ধ থাকে। ফলে অনেক সময় মুমূর্ষু রোগী কিংবা জরুরি কাজে অন্যত্র যাওয়া মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে পারখাজুরা গ্রামের মৃত আকেজ দফাদারের ছেলে আব্দুল আজিজ (৬০) স্ট্রোক করেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের করা হলেও কোনো যানবাহন না থাকায় পথেই তার মৃত্যু হয়।

গত ৩ অক্টোবর রাতে পারখাজুরা গ্রামের দিনমজুর আতিয়ার রহমানের অসুস্থ মেয়ে তামান্না আকতারকে (৪০) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া ঝড়-বৃষ্টির সময় পারখাজুরা বাঁওড় দিয়ে সাধারণ মানুষসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পারাপারের সময় প্রায়ই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বই-খাতাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পানিতে নষ্ট হয়ে যায়, ভেসে যায়।

গত ৫ নভেম্বর সকালে রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে আসার পথে আব্দুল বারীর ছেলে মামুন হোসেন (১৭) নৌকা থেকে পারখাজুরা বাঁওড়ে পড়ে যায়। এরপর বাঁওড়ের জেলেরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

পারখাজুরা গ্রামবাসী বাঁওড়ের ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। কিন্তু তাতে কোনো সুফল মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে ভাসমান এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন শেখ ইসলাম আলী ও মহিবুল্লাহ গোলদার।

তারা জানান, যখন সরকারি দপ্তরগুলোতে আবেদন করার পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, তখন আমরা এই সেতু করার উদ্যোগ নেই। এতে সাড়া দেয় পারখাজুরা ও হাকিমপুর গ্রামবাসী।

অন্যতম উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সেতুটির ওপর দিয়ে ভ্যান, রিকশা ও ইজিবাইকসহ হালকা যান চলাচল করতে পারবে। প্লাস্টিকের ব্যারেল দিয়ে সেতুটি নির্মিত হওয়ায় ভারি যান এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে না।

এদিকে বৃহত্তর ভাসমান সেতুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। সেতু দেখতে আসা চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ জানান, দেশের বৃহত্তর এ ভাসমান সেতুটি দেখতে খুবই দৃষ্টিনন্দন। তাই সপরিবারে দেখতে এসেছি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, পারখাজুরা দ্বীপের মানুষ সকাল-বিকাল হাট-বাজারে আসতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তেমনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিরও যেন শেষ নেই। তাই গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে পারখাজুরা বাঁওড়ের ওপর প্লাস্টিকের ব্যারেল দিয়ে ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে।

মশ্মিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, হাকিমপুর-পারখাজুরাবাসীর যাতায়াতের জন্য বাঁওড়ের ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার ধরনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কেউ আমলে নেয়নি। তাই গ্রামবাসীরা এ ভাসমান সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এই ভাসমান সেতু রক্ষায় তিনি সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় ৫৩ এ গ্রামটি পরে বছর ভূখণ্ডের মূল যুক্ত সঙ্গে স্বাধীনতার হচ্ছে
Related Posts
সংসদ নির্বাচন

সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে আলাদা ব্যালট, তবে বক্স একটিই

December 17, 2025
Ekushey Book Fair

অমর একুশে বইমেলা ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু

December 17, 2025
এমপিওভুক্ত শিক্ষক

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর

December 17, 2025
Latest News
সংসদ নির্বাচন

সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে আলাদা ব্যালট, তবে বক্স একটিই

Ekushey Book Fair

অমর একুশে বইমেলা ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু

এমপিওভুক্ত শিক্ষক

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

তেঁতুলিয়ায় এক সপ্তাহ ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত

প্রবাসী ভোটার

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ছাড়াল সাড়ে ৪ লাখ

লালবাগে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

লালবাগে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা এস এম নজরুল ইসলামের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Note

ছেঁড়া-ফাটা নোট নিতে না চাইলেই ব্যবস্থা

প্রধান উপদেষ্টা

দেশের তারুণ্য সোনার খনির চেয়ে বেশি মূল্যবান : প্রধান উপদেষ্টা

Logo

ভাতার দাবিতে আন্দোলন : সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী বরখাস্ত

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.