ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের দুই রাষ্ট্রের সমাধানের বিষয়টি অনেকদিন ধরে আলোচনায় আসলেও কোন সমাধান মিলছে না। তবে তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেইর লিটভ্যাক মনে করেন যে, সুযোগ থাকলেও ইজরায়েলের এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। ইসরাইল আসলে দুর্বল ফিলিস্তিনি অথরিটি চায় যাদের নিজেদের কোন সক্ষমতা থাকবে না আবার ইজরায়েলের উপর নির্ভরশীল থাকবে।
জেরুজালেম নিয়ে দু’পক্ষ ছাড় না দিলে কোন কিছুতে একমত হওয়া সম্ভব নয়। পশ্চিম তীর নিয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা দরকার। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র সেভাবে শান্তির পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এর আগে মিশর এবং জর্ডানের সাথে ইজরায়েলের শান্তি চুক্তির বিষয়ে আমেরিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আমেরিকা এখন আর আগের মত মধ্যপ্রাচ্য সক্রিয় নয়। আমেরিকা শান্তির উদ্যোগ নিলে আশা দেখতে অসুবিধা নেই।স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হচ্ছে পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতি।
ভূখণ্ড ব্যতীত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী করাও এক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করেছে। ফিলিস্তিন জেরুজালেম প্রশ্নের ছাড় দিবে না। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক শাহীন বেরেজনি মনে করেন যে, বর্তমানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা বেশি চ্যালেঞ্জের মনে হচ্ছে। ইজরায়েলের ইহুদি বসতির সংখ্যা এতটা বেড়েছে যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করার সম্ভবনা দিন দিন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে।
তাছাড়া ফিলিস্তিনের হামাস এবং ফাতাহ দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অসলো চুক্তিতে দুই রাষ্ট্রের সমাধান মেনে নেওয়া হলেও কোন সময়সীমার কথা উল্লেখ করা হয়নি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ের সমাধান দরকার ছিল। প্রথমত রাষ্ট্রের সীমান্ত কোথায় হবে সেটা ঠিক করা। জেরুজালেম কার অধীন থাকবে তা নির্ধারণ করা। ইজরায়েলের বসতি সরিয়ে নেওয়া। ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুতদের সমস্যার সমাধান করা। আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করা কথা থাকলেও তা আর ঘটেনি।
এটি বাস্তবায়ন না করার পিছনে দুই পক্ষই দায়ী। কেননা অনেকে শুধু এক রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান চেয়েছে। থাকবে হয়তো ইসলাইল নয়তো ফিলিস্তিন। তাছাড়া হামাসের সাথে ইহুদীদের সংঘর্ষ এর বিষয়টি চুক্তিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেয়নি। তাদের স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।