শিরিনের ছোটবোন সাবিহা জানান, শিরিন দুই বছর আগে শিশু সন্তানকে রেখে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণপাড়ার জিন্নাহকে পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর থেকে বড়বোন শিরিনের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। ঘটনার দিন শিরিন ফোন করে ক্ষমা চায় এবং বলে ‘নিজেই স্বামীকে তালাক দিয়েছি। আর কোনো দিন তোদের সাথে দেখা হবে না। হাতে কীটনাশক রয়েছে। চিরতরে চলে যাচ্ছি। পারলে এসে দেখে যাস।’
সাবিহা বলেন, এ সময় তাকে অনেক নিষেধ করলেও না শুনে ফোন কেটে দেয়। এরপর তার মৃত্যুর খবর পাই। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানি না।
শিরিনের স্বামী জিন্নাহ জানান, গত বৃহস্পতিবার শিরিন তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে। এরপর তার সাথে আর কোনো যোগাযোগ নেই। পরে লোকমুখে শিরিনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তিনি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) হুমায়ন কবীর জানান, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।