জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামীর সঙ্গে মিলে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় ছাড়াগাও এলাকায়। এ ঘটনায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বামী শুক্কুর আলী ও স্ত্রী ফাতেমা আকতারকে।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য জানান কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান।
এর আগে গত বুধবার (৯ আগস্ট) ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে অর্ধগলিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের সূত্রেই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে চান্দিনা থানা-পুলিশ।
হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৪০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার সাতগাঁও এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে। এদিকে গ্রেপ্তার শুক্কুর হোসেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছত্রিশ কালিপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে ও ফাতেমা বেগমের বাড়িও একই থানার গাবুরগাঁও এলাকায়।
পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, দুই বছর ধরে শুক্কুর আলীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন নিহত আরিফ হোসেন। শুক্কুরের বাড়িতেও ছিল আরিফের আসা যাওয়া। তখন থেকে শুক্কুরের স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে আরিফের প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। প্রেমের একপর্যায়ের ফাতেমা আরিফের বাড়িতে চলে যায়। কিছুদিন পর ফাতেমা বুঝতে পারেন, আরিফ তাঁকে বিয়ে করবেন না। পরে তিনি আবার স্বামী শুক্কুরের কাছে ফিরে আসেন।
প্রেমে প্রতারণার শিকার হাওয়ার অভিমানে ফাতেমা তাঁর স্বামী শুক্কুরের সঙ্গে মিলে আরিফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে কৌশলে স্বামী-স্ত্রী মিলে আরিফকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় পুকুরে ফেলে দেয়।
নিহত আরিফের ভাই তারিছ আলী বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রেস বিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবির সোহায়েব, চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।