জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে স্বামীর সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বাবলু (৬০) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। উপজেলার কালিঙ্গা গ্রামে রোববার দুপুর ১২টায় তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের দুই দিন পর থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী।
পরে স্বামীসহ ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে থানায় নিয়ে আসার পর স্বামীর সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ওই নারী স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তার স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের ছেলে বাবলু মণ্ডলের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামী বাড়ির বাইরে কাজের সন্ধানে গেলে ওই নারীকে বাড়িতে একা পেয়ে স্বামীর বন্ধু বাবলু মণ্ডল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ওই নারী ঘটনাটি তার স্বামীকে না জানিয়ে বাপের বাড়ি গিয়ে তার ভাইকে জানান। তার ভাই এ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বার জামাল হোসেনকে জানান। পরে মেম্বার ওই নারীকে নিয়ে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ তার স্বামী ও বাবলু মণ্ডলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক তদন্তে তার স্বামীর সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দিয়ে বাবলু মণ্ডলকে ধর্ষণ মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, স্বামীর সহযোগিতায় স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর স্বামী ও বাবলু মণ্ডল নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে প্রাথমিক তদন্তে স্বামীর সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দিয়ে বাবলু মণ্ডলকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।