জুমবাংলা ডেস্ক : মাদারীপুরের রাজৈরে উপজেলায় স্বামী-সন্তানের সেবা দিয়ে গৃহবধূ নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজৈর উপজেলার কোদালিয়ার একজন ঢাকার কদমতলীতে ফলের দোকানের কর্মচারী। করোনা প্রাদুর্ভাবে তিনি নিজ বাড়ি গেলে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়।
রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিক, তার স্ত্রী ও তিন বছরের শিশু সন্তানকে কোয়ারেন্টিনে রেখে ৯ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। দুদিন পড়ে ওই শ্রমিকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে ১১ এপ্রিল তার শিশু সন্তান ও স্ত্রীর নমুনা পাঠানো হয়। শিশুটির রিপোর্ট পজিটিভ হলেও ওই নারীর নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
দীর্ঘদিন হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে চিকিৎসা দেয়ার পর ২৫ এপ্রিল তিনজনের নমুনা ঢাকা পাঠানো হয়। এবার রিপোর্টে স্বামী-সন্তানের নেগেটিভ আসলেও ওই নারীর পজিটিভ আসে। ওই নারীর সেবায় স্বামী ও সন্তান সুস্থ হলেও নারী নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে শিশু সন্তানসহ ওই নারী একই কক্ষে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালের আরএমও মিঠুন বিশ্বাস জানান, তিন বছরের ছোট শিশুটিকে মা থেকে আলাদা রাখা যায়নি। তবে আমরা মা ও ছেলেকে বিশেষ নজরে রেখেছি।
রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল জানান, নতুন করে আরও এক যুবক ও এক তরুণী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজৈর হাসপাতালে আইসোলেশন কক্ষের সংকুলান না হওয়ায় তাদেরকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাজৈর উপজেলায় মোট ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।