Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home স্বায়ত্তশাসন নামেই, ‘মন্ত্রণালয়ের দাদাগিরি’ কী চলবেই?
    জাতীয়

    স্বায়ত্তশাসন নামেই, ‘মন্ত্রণালয়ের দাদাগিরি’ কী চলবেই?

    Tomal NurullahMarch 2, 20257 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : ‘মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।

    “মন্ত্রণালয় থেকে শিল্পকলাকে অধীনস্ত করে রাখতে চায়। শিল্পকলা যে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান- তারা সেটা মানতে চায় না,” অভিযোগ শিল্পকলা মহাপরিচালকের।

    সৈয়দ জামিলের এমন বক্তব্য প্রশ্নের মুখে ফেলেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে। প্রশ্ন উঠেছে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজে মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করতে পারে কিনা?

    ১৯৮৯ সালে প্রণীত যে আইনের অধীনে শিল্পকলা একাডেমি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে চলছে, সেই আইনে বলা আছে, “একাডেমির সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকবে এবং পরিষদ সেই সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কাজ করতে পারবে, যা একাডেমি কর্তৃক প্রযুক্ত ও সম্পন্ন হইতে পারে।”

    আইনেই বলা আছে, “মহাপরিচালক একাডেমির সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করবেন এবং পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন।”

    কিন্তু সৈয়দ জামিল বলছেন, “মন্ত্রণালয় শিল্পকলাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানছে না। তারা অধীনস্ত করে রাখতে চায়। তারা চায়, আমাদেরকে তাদের সকল নির্দেশ মেনে চলতে হবে। শিল্পকলা একাডেমি যে একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এটা তারা মানে না। আমাকে চার দিকে ঘিরে রেখেছে, একটা পা ফেলতে দিচ্ছে না। কাজ করতে দিচ্ছে না।”

    অন্যদিকে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলছেন, জামিল আহমেদের ‘অনেকগুলা কথা পুরো সত্য নয়, অনেকগুলা কথা ডাহা মিথ্যা এবং কিছু কথা পরিস্থিতি ডিল না করতে পারাজনিত হতাশা থেকে বের হয়ে আসা’।

    স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের অভিযোগ যে সৈয়দ জামিলই প্রথম করছেন, তা নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘দাদাগিরি’ করার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তবে কোনো সমাধান হয়নি। মূলত নিয়ন্ত্রণ করার বাসনা থেকেই মন্ত্রণালয় বার বার হস্তক্ষেপ করে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজে।

    এবার শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ‘মন্ত্রণালয়ের দাদাগিরি’র বিষয়টি আরো বড় আকারে সামনে এলো।

    সৈয়দ জামিল অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর দিকে। শিল্পকলার মহাপরিচালক অভিযোগ করেছেন, উপদেষ্টা তার কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। আইন অনুযায়ী বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে তা করার এখতিয়ার সংস্কৃতি উপদেষ্টার আছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    শিল্পকলা নিয়ে আলোচনায় অনিবার্যভাবেই আসে বাংলা একাডেমির কথা। আইন অনুযায়ী, বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও প্রতিষ্ঠানটিকে বিভিন্ন সময় নিজেদের অধীনস্ত ভেবে আসছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    অথচ বাংলা একাডেমি আইনেও বলা আছে, একাডেমির সর্বময় কর্তৃত্ব সাধারণ পরিষদের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সাধারণ পরিষদ একাডেমির কার্যাবলি তদারকি ও পর্যালোচনা করবে এবং নির্বাহী পরিষদকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবে।

    ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ‘একুশে বইমেলার আয়োজক কে? দ্বন্দ্বে সংস্কৃতি সচিব ও বাংলা একাডেমি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়– বইমেলার নীতিমালা এবং দীর্ঘদিন চর্চিত আচারে বাংলা একাডেমিই বইমেলার আয়োজক হিসেবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। তবে ওই বছর বইমেলার আয়োজক হিসেবে বাংলা একাডেমির সঙ্গে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের নাম যোগ করতে চাপ দেয়।

    আয়োজকের ভূমিকায় মন্ত্রণালয়ের নাম ওঠানোর ক্ষেত্রে সে সময় সংস্কৃতি সচিবের দায়িত্বে থাকা মো. আবুল মনসুর যুক্তি দেখিয়েছিলেন, বাংলা একাডেমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান।

    আইন অনুযায়ী বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং এটি পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হলেও আবুল মনসুরের ভাষ্য ছিল, “বাংলা একাডেমির বাজেট কোথা থেকে আসে? টাকা তো মন্ত্রণালয় থেকেই যায়। তাহলে মন্ত্রণালয়ের নাম দিতে এত সমস্যা কেন? ‘এলোকেশন অব বিজনেস’ অনুযায়ী বাংলা একাডেমি আইনের রক্ষক তো মন্ত্রণালয়। তাহলে মন্ত্রণালয়ের সংস্থা বা দপ্তরের কার্যক্রম তো মন্ত্রণালয়ের অধীনেই।”

    পরে অবশ্য সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পিছু হটে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বইমেলার আয়োজক হিসেবে তাদের নাম আর যুক্ত করা হয়নি। তবে মন্ত্রণালয় থেমে যায়নি। এরপর নানাভাবে মন্ত্রণালয় থেকে বাংলা একাডেমির উপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে চাপ অব্যাহত থাকে। বাংলা একাডেমির প্রায় সব অনুষ্ঠানেই দেখা যায় মঞ্চে মন্ত্রণালয়ের কাউকে না কাউকে অতিথি করা হতো।

    বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়েও মঞ্চে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শ্রোতাদের বিরক্তির কারণ ঘটালে, এ নিয়ে বছর দুয়েক আগে একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন গবেষক মফিদুল হক। পরে তিনি একাডেমির কাছে একটি লিখিত চিঠি দিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

    বাংলা একাডেমির অনুষ্ঠান মঞ্চে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যে বক্তব্য দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়েছিলেন, তা নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ সরকার যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। সেই নির্বাচনের পর দিন ৮ জানুয়ারি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ১৮টি দপ্তর/সংস্থার মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালকদের একটি চিঠি দেওয়া হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার নামের সঙ্গে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম লিখতে হবে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বায়ত্তশাসিত হিসেবে স্বীকৃত এবং আইন দ্বারা পরিচালিত। তাদেরকেও এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    ২০২৪ সালের ১৩ জানুয়ারি ‘স্বায়ত্তশাসিত কি অধীনস্থ? সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‘দাদাগিরিতে’ ক্ষোভ’ শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

    আইন লঙ্ঘন করে মন্ত্রণালয় থেকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নাম লেখার নির্দেশনা দেয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন বিশিষ্টজনেরা। কিন্তু মন্ত্রণালয় দাবি করে, “এসব প্রতিষ্ঠানের বাজেট বরাদ্দসহ সব কাজই যেহেতু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয়, তাই এ নির্দেশনায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।”

    ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর মন্ত্রণালয় সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়ন করেনি।

    তবে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ করার এই মনোভাব যে রয়েই গেছে, তা প্রকাশ্যে আসে বর্তমান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দায়িত্ব নেয়ার পর।

    গত ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কারে লেখকদের তালিকায় কোনো ‘নারী লেখক’ না থাকাকে ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা ফারুকী। এ পুরস্কারের জন্য ‘মনোনয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের সময় এসেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    এর পরদিন ঘোষিত পুরস্কার স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায় বাংলা একাডেমি। সংস্কৃতি উপদেষ্টা নিজেই পুরস্কার স্থগিতের খবর ফেইসবুক পোস্টে জানালেন প্রথমে।

    উপদেষ্টার ফেইসবুক পোস্টে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন বলে অভিযোগ করেন পুরস্কারের জুরি সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান। তিনি দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন।

    মোরশেদ শফিউল হাসান বলেছেন, সংস্কৃতি উপদেষ্টার পর পর দুটি ফেইসবুক পোস্ট পড়ার পর তিনি ‘আত্মসম্মান বোধ থেকে এবং নিজের বিচারবুদ্ধির ওপর আস্থা রেখে’ এই প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়টিকে কেউ কেউ বাংলা একাডেমির উপর সংস্কৃতি উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

    পুরস্কার নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এবার বাংলা একাডেমির নির্বাহী কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন কবি সাজ্জাদ শরিফ।

    গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাজ্জাদ শরিফ বাংলা একাডেমির নবগঠিত নির্বাহী পরিষদে যুক্ত হয়েছিলেন। আইন অনুযায়ী এই নির্বাহী পরিষদের মাধ্যমেই বাংলা একাডেমি পরিচালিত হওয়ার কথা।

    সাজ্জাদ শরিফ তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, “প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলা একাডেমি এবং একাডেমির মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিষদের পদগুলোর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় নৈতিক কারণে আমার পক্ষে এই পদে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। আমি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।”

    মোরশেদ শফিউল হাসান উপদেষ্টার ফেইসবুক পোস্টে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার অভিযোগ করলেও সাজ্জাদ শরিফ প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবার শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেই সংস্কৃতি উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে জানালেন। তিনি সেদিন বলছিলেন, মন্ত্রণালয় তাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমলাতন্ত্রের জাল তাকে নানাভাবে আটকে রেখেছে।

    অনেকেই ধারণা করেছিলেন, জুলাই গণঅভ্যুথানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তার প্রতিফলন হয়তো দেখা যাবে বর্তমান সরকারের কাজে। তবে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকার নানাভাবে পুরনো ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পথেই হাঁটছে। বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারে হস্তক্ষেপ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ তারই উদাহরণ। সেই কবে আল মাহমুদ লিখেছিলেন, “আমাদের কলাকেন্দ্রে, আমাদের সর্ব কারুকাজে/ অস্তিবাদী জিরাফেরা বাড়িয়েছে ব্যক্তিগত গলা।” এই সব জিরাফের গলা আরও বড় হওয়ার আগে সংস্কৃতিকর্মীদের এই আওয়াজ তোলা জরুরি– শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমিসহ সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

    ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষণ হলো– তারা সব সময় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। এজন্য তারা এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে নানাভাবে। কারণ রাষ্ট্র এসব সৃজনশীল প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসনকে ভয় পায়। আমরা আশা করি, শিল্পকলা এবং বাংলা একাডেমির মতো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো মাথা উঁচু করে চলবে। প্রয়োজনে সরকারেরও সমালোচনা করে নাটক, আবৃত্তির আয়োজন করবে। গবেষণাধর্মী লেখা প্রকাশ করবে। যেখানে সরকারের সমালোচনাও উঠে আসবে। সরকার সেসব সমালোচনা থেকে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু আমাদের সরকার যেন আমলাতান্ত্রিক জালেই আটকে থাকে বারবার।

    আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা দেয়া হয় মূলত এ কারণেই, যে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে চলবে, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক কাঠামো সেটি হতে দিতে চায় না। কর্তৃত্ববাদী সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের গলা চেপে ধরে বার বার।

    সৈয়দ জামিল আহমেদ আমলাতন্ত্রের হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে শিল্পকলার মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, চারটি শর্ত মানলে তিনি দায়িত্বে ফিরবেন। যে চারটি শর্ত দিয়েছেন, তা শিল্পকলার কল্যাণের জন্যই।

    জামিল আহমেদ বলেছেন, শিল্পকলায় মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আইন অনুযায়ী তা করার সুযোগও নাই। কিন্তু মন্ত্রণালয় আইন লঙ্ঘন করে তা প্রতিনিয়েই করছে।

    জামিল আহমেদ শিল্পকলার বরাদ্দ বাড়াতে বলেছেন, সেই সঙ্গে ‘আদিবাসী’ বলার অধিকারও চেয়েছেন। এই শর্তগুলো সকল প্রগতিশীল সংস্কৃতিকর্মীরই প্রাণের দাবি। এই দাবি পূরণ হোক। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আমলাতন্ত্রের হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করবে এবং আইন অনুযায়ী জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় ‘মন্ত্রণালয়ের কী? চলবেই, দাদাগিরি নামেই স্বায়ত্তশাসন
    Related Posts
    প্রধান শিক্ষক

    ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার পথে

    July 7, 2025
    Dolil

    এ বছরের মধ্যেই বাতিল হচ্ছে এই ১০ ধরনের জমির দলিল

    July 7, 2025
    Job

    যমুনার সামনে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

    July 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Dolil

    দলিলে এসব শব্দ দেখলে সতর্ক হোন, আপনিও পড়তে পারেন আইনি জটিলতা

    Jackson Wang

    Jackson Wang To Appear on ‘The Great Indian Kapil Show 3’? Viral Video With Vijay Varma, Prateik Gandhi Sparks Buzz

    iPhone 17 Pro Max

    iPhone 17 Pro Max Leak Reveals Bold New Logo Position in Latest Renders

    প্রধান শিক্ষক

    ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার পথে

    Jinnie Jazz

    Jinnie Jazz: ULLU’s Queen of Tease with a Touch of OTT Glamour

    আশুরার দিন

    আশুরার দিন যে আমল করতেন নবীজি (সা.)

    Australia

    অস্ট্রেলিয়ার ৯৫% এলাকা কেন খালি? জানলে অবাক হবেন

    মেয়েরা

    মেয়েরা কী করলে ৩০ মিনিট পর ক্লান্ত হয়ে যায়? অনেকেই জানেন না

    ওয়েব সিরিজ

    উল্লুর এই ৫টি ওয়েব সিরিজ দেখলে রাতের ঘুম উরবে আপনার

    ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন

    আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আশা মির্জা ফখরুলের

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.