Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে-বুঝে বিয়ে করেছি: আদালতে আইডিয়ালের ছাত্রী
    আইন-আদালত

    স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে-বুঝে বিয়ে করেছি: আদালতে আইডিয়ালের ছাত্রী

    Saiful IslamAugust 20, 20235 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ে করা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। তরুণীর বাবার জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বৃদ্ধ স্বামীর জামিন আবেদন শুনানিতে জানতে চাইলে ওই তরুণী হাইকোর্টকে জানান, তিনি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে ও বুঝেশুনে আইডিয়ালের দাতা সদস্য মুশতাককে বিয়ে করেছেন। তখন তিনি আরো বলেন, আমি প্রাপ্তবয়স্ক নারী। যে কাউকে বিয়ে করতে পারি।

    এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘প্রেম অন্ধ। মানে না কোনো জাত-পাত, উচু-নিচু, ছোট -বড়, মেয়েটা ভালোবাসে এ কারণেই হয়তো ঘর বেঁধেছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
    ধর্ষণের ঘটনায় তরুণীর বাবার দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চান খন্দকার মুশতাক আহমেদ। জামিন শুনানিতে তিনি সঙ্গে নিয়ে আসেন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীকে।

    এ সময় আবেদনের শুনানিতে আদালত জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, জেনে বুঝেই বিয়ে করেছি। আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী। যে কাউকে বিয়ে করতে পারি।

    শুনানিতে খন্দকার মুশতাক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য হয়েও তার বয়সের চেয়ে অনেক ছোট ছাত্রীকে কীভাবে বিয়ে করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তারা আদালতে বলেন, রক্ষক হয়ে উনি ভক্ষকের কাজ করেছেন।

    এভাবে চলতে থাকলে স্কুল কলেজে পাঠানো মা বাবার সন্তানের নিরাপত্তা বলতে কিছু থাকবে না। এ সময় ছাত্রী, ছাত্রীর বাবা ও আসামিপক্ষ, উভয়ের আইনজীবীদের বক্তব্যের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে হাইকোর্ট বলেন, ‘প্রেম অন্ধ। মেয়েটা ভালোবাসে এ কারণেই হয়ত ঘর বেঁধেছে। আমরা আগেও বলেছি প্রেমের মরা জলে ডোবে না।’

    শুনানিতে ছাত্রীর বাবাও বক্তব্য রেখেছেন। বাবা বক্তব্য দেওয়ার সময় তরুণী মেয়ে আদালত কক্ষের দেওয়ালের দিকে মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন। চেষ্টা করেছেন বাবার চোখে যেন চোখ না পড়ে। জামিন শুনানির শুরুতেই ওই ছাত্রীকে এজলাসের সামনে ডেকে নেন বিচারপতিরা। তখন আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় তরুণীর স্বামী মুশতাক আহমেদ এবং তরুণীর বাবাকে।

    ভেতর থেকে লাগিয়ে দেওয়া হয় দরজা। ওই তরুণীকে আদালত বলেন, এই কক্ষে আইনজীবী ও সাংবাদিকরা রয়েছেন। আমরা কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবো। যদি সংকোচবোধ করেন তাহলে দুই পক্ষের আইনজীবীসহ আপনাকে নিয়ে খাস কামরায় আপনার মতামত জানার চেষ্টা করবো। জবাবে ওই তরুণী বলেন, আমি কোনো সংকোচবোধ করছি না। এখানে প্রশ্নের জবাব দিতে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছি।

    এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, আপনার বাবা আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এটা জানেন? ছাত্রী বলেন, আমি জানি। আদালত বলেন, কীভাবে এই ব্যক্তির (খন্দকার মুশতাক) সঙ্গে পরিচয় হলো? ছাত্রী বলেন, একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ অনুষ্ঠানের দিন তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে। আদালত বলেন, আপনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন সেটা কি স্বেচ্ছায় দিয়েছেন? ছাত্রী বলেন, স্বেচ্ছায় দিয়েছি।

    আদালত বয়স কত জানতে চাইলে? তরুণী বলেন, ১৮ বছর ৬ মাস। আদালত বলেন, যাকে বিয়ে করেছেন তার আগের স্ত্রীদের সম্পর্কে জানতেন? ছাত্রী বলেন, একজনের বিয়ের বিষয়ে জানতাম। আরেকজনের বিষয়ে অবগত ছিলাম না।

    আদালত বলেন, যার বিয়ের বিষয়ে জানতেন সেই বিয়ে বলবৎ থাকাবস্থায় কি আপনার বিয়ে হয়েছে? তরুণী বলেন, ওনাকে তালাক দেওয়ার পর আমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। আদালত বলেন, ওই স্ত্রীর কোনো সন্তান আছে কি? শিক্ষার্থী বলেন, ছয় বছরের এক সন্তান আছে। সে ওর মায়ের সঙ্গেই থাকে।

    আদালত বলেন, আপনাকে কি কোনো রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে, নাকি ভালোবেসে বিয়ে করেছে? তরুণী বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। আদালত বলেন, আপনি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে ও বুঝেশুনে বিয়ে করেছেন কি? ছাত্রী বলেন, জ্বি। আমি প্রাপ্তবয়স্ক। যে কাউকে বিয়ে করতে পারি।

    ভিকটিমের বক্তব্য শুনানি শেষে আসামি মুশতাকের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, এই মামলার দুই আসামির মধ্যে একজন (আইডিয়ালের প্রিন্সিপাল) আগাম জামিন পেয়েছেন। আর মেয়ের বাবার আরেকটি নালিশি মামলায় ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি রয়েছে। সেখানে বলেছেন, স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে তিনি এই বিয়ে করেছেন। কেউ তাকে জোর করেনি।

    মেয়ের বাবার পক্ষে আইনজীবী মো. ইউনূছ আলী আকন্দ বলেন, মেয়ের বয়স ১৬ বছরের নিচে। আদালত বলেন, কোন প্রমাণের ভিত্তিতে এ কথা বলছেন? এসময় আইনজীবী কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

    আইনজীবী বলেন, ভিকটিমকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছেন এই আসামি। আদালত বলেন, জামিন আবেদনকারীর পক্ষ থেকে ভিকটিমের বয়স প্রমাণের যেসব সার্টিফিকেট দাখিল করা হয়েছে সেগুলো কি মিথ্যা? এসময় মেয়ের বাবা বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৮ বছর হয়নি।

    আইনজীবী ইউনূছ আলী বলেন, তুলে নেওয়া হয়েছে এই ছাত্রীকে। এসময় মেয়ের বাবা তার মোবাইলে থাকা একটি ভিডিও আদালতে দেখানোর চেষ্টা করেন। তখন সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, আজকাল এ ধরনের ভিডিও ক্লোন করে নির্মাণ করা যায়। এটা সত্য না মিথ্যা তার প্রমাণ হবে বিচারে।

    এ পর্যায়ে মেয়ের বাবা আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে বলেন, আমি গার্মেন্টস এক্সেসোরিসের ব্যবসা করি। বাইরে থেকে এসব পণ্য এনে থাকি। মতিঝিলে হোলসেলে বিক্রি করেন। তিনি বলেন, আমার তিন মেয়ে। সে সবার বড়। মেজো মেয়েটা আইডিয়াল স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

    তখন জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন বলেন, স্কুলের একজন দাতা সদস্য হিসেবে মুশতাকের নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকার কথা। সেই হিসেবে এই বিয়ে করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত। এতে সমাজে কী বার্তা যাচ্ছে। গভর্নিং বডির সদস্য মানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। এভাবে একজন ছাত্রীকে উনি বিয়ে করার কোনো সুযোগ আছে? তিনি বলেন, ২২ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন সেটা কতটা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন ভিকটিম সেটাও বিবেচনার বিষয় রয়েছে।

    শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম বলেন, আসামি একজন দাতা সদস্য। উনি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করেছেন। আদালত বলেন, উনি ভক্ষক হলেন কোথায়? মামলার বিষয়বস্তুর মধ্যে থাকেন।

    শুনানি শেষে হাইকোর্ট ধর্ষণের মামলায় মুশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। তবে ছাত্রীর বয়স নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিরাপদ হেফাজতে রেখে এই বয়স নির্ধারণ করতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশের পর লিখিত আদেশ নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই তরুণীকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যান শাহবাগ থানার পুলিশ।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আইডিয়ালের আইন-আদালত আদালতে করেছি ছাত্রী বিয়ে! স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে-বুঝে
    Related Posts
    মামলায় গ্রেপ্তার

    মেনন-ইনু-পলক নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

    August 4, 2025
    শেখ হাসিনা

    হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

    August 4, 2025
    সাবেক এমপির বাসায়

    সাবেক এমপির বাসায় চাঁদাবাজি: দায় স্বীকার করে আদালতে রিয়াদের জবানবন্দি

    August 4, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ফের ছড়াতে শুরু করেছে

    ফের ছড়াতে শুরু করেছে ভয়ংকর রোগ

    ৩০০ কিমি পাড়ি দিয়ে

    ৩০০ কিমি পাড়ি দিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’

    এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলিতে

    এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলিতে এখন থেকে মানতে হবে নতুন নিয়ম

    গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহু

    গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহু-আইডিএফ প্রধানের দ্বন্দ্ব চরমে

    ভালো প্রস্তাব এলে ছবিতে

    ভালো প্রস্তাব এলে ছবিতে অভিনয় করতে রাজি আছি

    পাঠদান শুরু হয়েছে মাইলস্টোনে

    পাঠদান শুরু হয়েছে মাইলস্টোনে, চলছে নবম-দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস

    মাইক্রোবাস খালে পড়ে

    মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু

    Dubai Chocolate Pancakes

    IHOP’s $130 Dubai Chocolate Pancakes Ignite Social Media Firestorm

    ভরা মৌসুমেও ইলিশের

    ভরা মৌসুমেও ইলিশের হাহাকার, বাজারে ক্ষোভের ঝড়

    How to Start Freelancing with No Skills

    How to Start Freelancing with No Skills: Your Step-by-Step Roadmap to Success

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.