মোবাইল চিপ এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের সঙ্কটের কারণে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন মার্কেট অস্থির থাকবে। এই কারণ কো ভিডের জন্য, এখন ওমি ক্রন ভ্যা রিয়েন্ট সেই পরিস্থিতি আরও অস্থির করে তুলবে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তথ্য দ্য ন্যাশনাল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডাটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) জানিয়েছে, তৃতীয় প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে কম দক্ষতা দেখায় এবং চলমান অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জের মুখে চলতি বছরে স্মার্টফোন বাজারের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সালে এ খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
আইডিসির মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সিনিয়র রিসার্চ ম্যানেজার রামাজান ইয়াভুজ জানান, স্মার্টফোন শিল্পের জন্য স্বল্প সময়ে কোনো মুক্তির পথ নেই এবং ২০২২ সালের মাঝামঝি পর্যন্ত পরিস্থিতি উন্নয়নে আর কোনো প্রত্যাশাও নেই। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সরবরাহ ব্যবস্থায় আরো বেশি বিঘ্ন ঘটাবে। পণ্য তৈরি ও অবকাঠামোর চিত্র দেখে মনে হচ্ছে, ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে সরবরাহ চেইনের বিঘ্ন আরো বড় হবে।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বিক্রি ও সরবরাহ ১৩৫ কোটি ছোঁবে। তার চেয়ে একটু বেশি হবে ২০২২ সালের শেষের দিকে। সে সময়ে সংখ্যাটা হবে ১৩৯ কোটি। তথ্য বলছে, উপাদানের স্বল্পতার জন্য উৎপাদনেও বিঘ্ন ঘটেছে, ফলে বাজারে পণ্য এসেছে কম এবং পণ্যের সহজলভ্যতা বিলম্বিত হয়েছে। এতে ব্যবহারকারীর কাছে বিক্রিতেও প্রভাব পড়েছে।
ব্যবহারকারীর কাছে এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে স্মার্টফোন বিক্রি আগের বছরের এ সময়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। কানেকটিকাট-ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনার উল্লেখ করেছে, আমরা প্রত্যাশা করি, ২০২২ সালে বিক্রি বাড়বে কিন্তু প্রবৃদ্ধি দুই অংকের ঘরে যাবে না। হয়তো ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। কভিড-১৯ পূর্ববর্তী ২০১৯ সালের লেভেল অর্জনেও কিছুটা পিছিয়ে থাকব আমরা।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রিতে শীর্ষে ছিল স্যামসাং। যদিও বার্ষিক হিসাবে তাদের সামগ্রিক মার্কেট শেয়ার ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে তারা ৬ কোটি ৯০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করেছে। এ সময়ে তাদের বাজার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২ শতাংশ। বার্ষিক হিসাবে তাদের বিক্রি মোট কমে যায় ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০২২ সালে স্মার্টফোন নেওয়ার ব্যাপারে ভাবছেন? জেনে নিন সেরা এই পাঁচটি নতুন মডেল
আর দ্বিতীয় স্থান নেয়া আইফোন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের বিক্রি ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ইউনিট। তাদের বাজার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২ শতাংশে। এদিকে সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে শাওমি, যাদের বিক্রি ছিল ৪ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।