বিনোদন ডেস্ক : সকাল থেকে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত স্যুটিং শেষে আড্ডাটা শুরু। আড্ডা শেষে রাত ১টার দিকে ঘটে ঘটনাটি। হঠাৎ কান্নার শব্দ। দু’টি কক্ষ থেকেই প্রায় একই রকম শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। শব্দে পাশের কক্ষের দুই যুবকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। বুঝতে পারে কিছু একটা হচ্ছে। নিরবে দরজার পাশে গিয়ে কান পেতে শুনে একজন। অস্থির হয়ে যায় তারা সঙ্গীহীনতার কারণেই।
সিগারেটে সুখ টান দিতে দিতে তাদের একজন বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। থেমে থেমে কান্নার মতো গোঙ্গানোর শব্দ তখনও চলছে। ওই দু’টি কক্ষে পার্শ্বচরিত্রের দুই অভিনয় শিল্পী রাত্রিযাপন করছে। বয়স ১৭-১৮ হবে। ঢাকার একটি কলেজের ছাত্রী। দু’জনেই বান্ধবী। আজকে এই ইউনিটে নতুন। ক্যামেরার সামনেও অভিনয় শিল্পী হিসেবে প্রথম তারা।
ঢাকার পাশেই এই স্যুটিং স্পট। আধা শহর, আধা গ্রাম। স্পটে পাঁচটি ঘরে। বাগান। সরু রাস্তা। ঘরগুলো মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তের। সকালে তিনটি গাড়িতে করে পুরো ইউনিট স্পটে এসেছে। নাস্তা শেষেই শুরু হয় স্যুটিং। একসঙ্গে অনেকগুলো শর্টমুভি নির্মাণ করছেন এক প্রবাসী প্রডিউসার। প্রডিউসারের শর্তানসুারেই পরিচিত কয়েক অভিনয় শিল্পীর পাশাপাশি ওই দুই ছাত্রীকেও নেন পরিচালক। প্রতিটি শর্ট মুভিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করছে তারা। দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। লম্বা, স্লীম, সুন্দর। অবশ্য উচ্চারণে অনেক সমস্যা। তবুও পরিচালক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামীতে বেশি বাজেটের ভালো কাজে নেয়া হবে তাদের। দেয়া হবে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগও।