জুমবাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস উপদ্রুত চীনের উহান শহর থেকে তিনশো’র বেশী বাংলাদেশিকে একটি বিশেষ বিমানে চড়িয়ে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিমানটি ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, আগামী দু’সপ্তাহ বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করছে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন চলাকালে এই বাংলাদেশিদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে সেনাবাহিনী থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, সেনাবাহিনী মূলত উহান থেকে ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যের দিকটি দেখবে।
সেনাবাহিনীর চিকিৎসকেরা নিয়মিত এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং কোয়ারেন্টাইন কর্মসূচী দেখভাল করবেন।এখানে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে সমন্বিত সামরিক হাসপাতাল বা সিএমএইচ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি গতকালই উহানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং রাতে সেখান থেকে বাংলাদেশীদের নিয়ে ফিরতি পথ ধরে।
গতকাল এই বিমানটি যাত্রা শুরুর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন যে মোট ৩৬১ জনকে উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
এদের অধিকাংশই উহানে অবস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তবে এখন যতটা জানা যাচ্ছে, ফেরত আসাদের সংখ্যা ৩৬১ জনের কম হবে। সঠিক সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কোন কর্মকর্তা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার তোলা কিছু ছবিতে উহানের বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার প্রাক্কালে কিছু বাংলাদেশিদের দেখা গেছে। এদের সবার মুখই ছিলো মাস্কে ঢাকা।
হজ্ব ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন চলাকালে উহান থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে কাউকে আসতে দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কেউ এদের আশেপাশে ভিড়তে পারবে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান গতকালই (শুক্রবার) একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “বিনীত অনুরোধ, এই সময়টায় স্বজনদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ব্যাকুলতা পরিহার করতে হবে। পর্যবেক্ষণে যাদের সুস্থ পাওয়া যাবে, তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হবে”।
বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি উহান রওয়ানা হবার আগে বিমানবন্দরের আন্তঃমন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলনে মি. রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া এই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৫৯ জন মারা গেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে ১১ হাজার জন।
চীনের বাইরে অন্তত ২২টি দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিত কমপক্ষে ১০০ জন মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।