চলতি বছরের হজ নিবন্ধনে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় কোটার একটি বড় অংশ খালি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২,৯১২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯,১০৫ জন হজে নিবন্ধন করেছেন—মোট ২২,০১৭ জন। অথচ চলতি বছরের মোট কোটা ১,২৭,১৯৮ জন।
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, রবিবার (১২ অক্টোবর) হজ নিবন্ধনের শেষ দিন। মন্ত্রণালয় এ অবস্থায় হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছে। একই সঙ্গে সুবিধার্থে শনিবারও হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ৩২৯টি এজেন্সি এখনো কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন করেনি। এছাড়া ৪৮টি এজেন্সি প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধনও করেনি। হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬ অনুযায়ী, প্রতিটি এজেন্সিকে ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করতে হবে। কোনো এজেন্সি যৌক্তিক কারণ ছাড়া শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাব-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, “অনেকের ধারণা, সম্প্রতি ওমরাহ পালন করলে হজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়া এ বছর প্রক্রিয়াটি আগেভাগে শুরু হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তবে শেষ মুহূর্তে নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশা করছি।”
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।