জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে চেকআপ করানো হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব সদস্যরা তাকে মেডিকেল চেকআপ করাতে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর চেকআপ শেষে ৬টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, সাহেদের বুকের, পেটের এক্স-রে ও ইসিজি করানো হয়েছে। দুটি পরীক্ষার রিপোর্টেই ভালো এসেছে। তাকে চিকিৎসাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাসুদ পারভেজ নামে আরও একজনকেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নরমাল পাবার পর তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, সাহেদ ও পারভেজকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। মেডিকেল চেকআপ শেষে তাদেরকে র্যাব সদস্যরা হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছে।
এর আগে সাহেদকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, এটা সাহেদের ‘দ্বিতীয় অফিস’।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, এই ফ্ল্যাটের খবর আগে পায়নি র্যাব। সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছে এই ফ্ল্যাটের হদিস মেলে।
এর আগে এক সপ্তাহ ধরে পলাতক সাহেদকে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তবর্তী কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে একটি গুলিভর্তি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রশিদ বলেন, পিস্তল হাতে কালো বোরকা পরিহিত অবস্থায় নৌকায় চড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সাহেদ।
পরে হেলিকপ্টারে করে সাহেদকে ঢাকায় আনা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।