জুমবাংলা ডেস্ক : ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন শিক্ষার কার্যকর একাডেমিক সুপরভিশন এবং মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার। আর এই লক্ষ্যে একটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার মাউশি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ।
নির্দেশনায় বলা হয়, অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাগণ নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করে নির্ধারিত ছকে মনিটরিং প্রতিবেদন মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইং, মাউশি অধিদপ্তরে প্রেরণ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিয়মিত ও কার্যকর একাডেমি সুপারভিশন এবং মনিটরিং নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে ২০২২ সাল হতে ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে বার্ষিক পরিদর্শন ক্যালেন্ডার ড্যাশবোর্ড এর মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে-
১। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত আইএসএএস-২০১৯ এর প্রতিবেদনের আলোকে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পারফর্মেন্স এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানসমূহকে অ, ই, ঈ, উ এবং ই ক্যাটাগরীতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে (তালিকা সংযুক্ত)। পাঁচটি ক্যাটাগরীর প্রতিষ্ঠানসমূহই যেন বছরব্যাপী প্রয়োজন মাফিক পরিদর্শনের আওতাভুক্ত হয় এ উদ্দেশ্যে সকল ক্যাটাগরীর বিদ্যালয় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিদ্যালয় মনিটরিং ও একাডেমিক সুপারভিশনের বার্ষিক ফ্রিকোয়েন্সিগুলো যেভাবে অনুসরণ করতে হবে-
ক্যাটাগরী-এ – প্রতি মাসে ১ বার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা-৪টি। ক্যাটাগরী- বি তে প্রতি ২ মাসে ১ বার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা- ৬টি ক্যাটাগরী-সি প্রতি ৪৫ দিনে (দেড় মাসে) ১ বার প্রতি মাসে ১ বার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা- ৮টি এবং ক্যাটাগরী-ডি/ই প্রতি মাসে ১ বার বাৎসরিক পরিদর্শন সংখ্যা- ১২টি।
সম্পূর্ণ সরকারি খরচে প্রশিক্ষণের সুবর্ণ সুযোগ, দেওয়া হবে মাসিক ভাতাও
২। সকল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তার জেলার প্রত্যেক উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অন্যান্য পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে আগামী ৩০ মার্চ ২০২২ তারিখের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা করবেন, তার জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহ পরিদর্শনের নির্মিত ক্লাস্টার ভিত্তিক সকল কর্মকর্তার (জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী পরিদর্শক, থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার) মধ্যে বন্টণ করবেন এবং উগঝ অ্যাপ/ ড্যাশবোর্ড এ ইনপুট দেবেন। পরিদর্শনকারী কর্মকর্তার স্বল্পতা সাপেক্ষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজনবোধে গবেষণা কর্মকর্তাকে তার নির্ধারিত দায়িত্ব পালন সাপেক্ষে পরিদর্শনের দায়িত্ব প্রদান করতে পারবেন। উক্ত সমন্বয় সভায় পরিচালক (অঞ্চলিক) প্রধান অতিথি এবং উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
৩। সকল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা মাউশি ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা গুগোল প্লে ষ্টোর হতে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজ ব্যবহৃত আইডি এবং সরবরাহকৃত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে সংযুক্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী বার্ষিক পরিদর্শন ছক পূরণ করবেন।
৪। প্রত্যেক জেলা এবং উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ মাসে নূন্যতম ৫টি বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করবেন।
৫। ক্যাটাগরীভুক্ত বিদ্যালয়ের বাইরে কোন বিদ্যালয় থাকলে তা ক্লাস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে মন্তব্য কলামে উল্লেখ করতে হবে।
‘মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ে টেকনোলজি ট্রান্সফার অফিস খোলা হবে’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।