৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার প্রাক্-ইভেন্টে, এক কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোস্ককে অপমান করার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য প্রতিযোগীরাও। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ওয়াকআউট করেন অনুষ্ঠান থেকে। এর মধ্যে বর্তমান মিস ইউনিভার্স ভিক্টোরিয়া কায়ার থেইলভিগও রয়েছেন। খবর এনডিটিভির।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার, যখন মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ডের পরিচালক নাওয়াত ইটসারাগ্রিসিল ফেসবুক লাইভে ফাতিমাকে তিরস্কার করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, মিস মেক্সিকো থাইল্যান্ডকে প্রচার করতে কোনো কনটেন্ট পোস্ট করেননি। নাওয়াত ফাতিমাকে ‘বোকা’ বলে উল্লেখ করেন।
নাওয়াত বলেন, মেক্সিকো, তুমি কোথায়? শুনেছি তুমি থাইল্যান্ড সম্পর্কিত কিছু সমর্থন করছ না, এটা কি সত্যি?
তিনি আরও বলেন, ফাতিমা নাকি থাইল্যান্ডের আয়োজক দলের কথা না শুনে মিস মেক্সিকো সংগঠনের নির্দেশ অনুসরণ করছেন। উত্তরে ফাতিমা শান্তভাবে বলেন, আমি কথা বলছি। কিন্তু আপনি আমাকে একজন নারী হিসেবে সম্মান করছেন না।
এ উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে নাওয়াত নিরাপত্তাকর্মী ডেকে ফাতিমাকে বাইরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু অন্যান্য প্রতিযোগীরা মিস মেক্সিকোর পাশে দাঁড়ান, কেউ কেউ সরাসরি নাওয়াতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান এবং কেউ কেউ মঞ্চ ছেড়ে চলে যান।
মিস ডেনমার্ক এবং বর্তমান মিস ইউনিভার্স ভিক্টোরিয়া কায়ার থেইলভিগ বলেন, এটা নারীর অধিকার ও মর্যাদার বিষয়। কাউকে এভাবে অপমান করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এজন্য আমি আমার কোট তুলে নিলাম এবং অনুষ্ঠান ছেড়ে যাচ্ছি।
ঘটনার পর মিস ইউনিভার্স সংস্থা নাওয়াতের আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে নিন্দা জানায় এবং তার দায়িত্ব সীমিত করার ঘোষণা দেয়। সংস্থার প্রেসিডেন্ট রাউল রোচা বলেন, আমি কখনো নারীর মর্যাদা ও সম্মানের মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হতে দেব না। একজন আয়োজকের আসল দায়িত্ব হল অতিথিদের সম্মান করা এবং মানবিক সদাচরণ নিশ্চিত করা। প্রয়োজন হলে নাওয়াতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিতর্কের মধ্যেও প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। বুধবার ব্যাংককে আরেকটি আনুষ্ঠানিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল রাউন্ড হবে ২১ নভেম্বর।
পরবর্তীতে নাওয়াত ক্ষমা চেয়ে বলেন, আমি প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলাম। কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বিশেষ করে সেদিন উপস্থিত থাকা প্রায় ৭৫ প্রতিযোগীর কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।
অন্যদিকে মিস মেক্সিকো ফাতিমা বললেন, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি এখানে নারীদের প্রতিনিধি হয়ে এসেছি, আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য। আমি কোনো পুতুল নই, যা শুধু সাজবে আর চুপ থাকবে। আমি আমার দেশের মেয়েদের হয়ে কথা বলব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



