জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে গতকাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযোগপত্র জমা দেয়ার খবর শুনে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা আমার ছেলেকে খুন করেছে বিচারিক আদালতে আমি তাদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির দণ্ড চাই।’
তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আহারে, আমি ভালো ছেলেকে নিজে হাতে বুয়েটে রেখে এসেছিলাম। ওরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করল আমার কলিজার টুকরা আবরারকে। আগে জানতে পারলে ছেলেকে বুয়েট থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতাম। জমি চাষ কিংবা ব্যবসা করিয়ে ছেলেকে নিজের বুকে আগলে রাখতাম।
অতি দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবরারের ছোটো ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও পলাতক চার জন আসামিকে সত্বর গ্রেফতারের দাবি করেন।
এ ছাড়া ভবিষ্যতে যাতে বুয়েটে এ রকম ঘটনা না ঘটে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও তিনি করেন। পাশাপাশি যত সম্ভব বিচার কাজ সম্পন্ন ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে বলে উল্লেখ করেন ছোটো ভাই আবরার ফায়াজ।
গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলে নিজের কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরের দিন তার বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।