যারা হলিউড সিনেমা নিয়মিত দেখেন তাহলে মাল্টিভার্স ধারণার সাথে ভালোভাবেই পরিচিত। পদার্থবিজ্ঞানেও এটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আমরা সচরাচর যেভাবে চিন্তা করি মাল্টিভার্স ধারণনাটি অনেকটাই তারা বিপরীত। যারা প্রথমবারের মতো মাল্টিভার্স ধারণার সম্মুখীন হন তারা হতভম্ব হয়ে যান।
আমরা ভাবি যে এ মহাবিশ্বে প্রত্যেকটি ব্যক্তির স্বতন্ত্র এবং বৈচিত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে মাল্টিভার্স এ ধারণার সঙ্গে একমত নয়। এটি বলে যে, আপনার মতই হুবহু একজন ব্যক্তি মহাবিশ্বের অন্য কোথাও রয়েছে তবে তার পেশা ভিন্ন হতে পারে।
পৃথিবীর মতো ডুপ্লিকেট গ্রহ রয়েছে এবং সব মানুষেরই হুবহু একজন করে ডুপ্লিকেট পাওয়া সম্ভব। তবে মাল্টিভার্স এর ধারণাটি সিনেমায় খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে. এটি অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় হলেও মহাকাশ নিয়ে আমরা যা চিন্তা করি সেখানে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে এ ধারণাটি।
মহাবিশ্ব নিয়ে গবেষণার শুরুর দিকে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না। উদাহরণ হিসেবে মহাবিশ্বের এক্সপানশন রেটের কথা বলা যেতে পারে। বিজ্ঞানী অ্যালান গুথ ইনফ্লেশন থিওরি দিয়ে এটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।
এ ইনফ্লেশন থিওরি অনুযায়ী মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বিগ ব্যাং এর মতো করে আরো অনেক মহাবিশ্ব তৈরি হওয়া সম্ভব। আরো বিগ ব্যাং প্রক্রিয়া ঘটতে থাকবে এবং মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে থাকবে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
ডার্ক এনার্জি নিয়ে অনেক রহস্য রয়েছে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হয়তো একটা সময় থেমে যাবে। কিন্তু ক্রমান্বয়ে মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের গতি বেড়েই চলেছে। এ সম্পর্কে তো অনেক রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে যদি মাল্টিভার্স এর ধারণাটি মেনে নেওয়া হয়।
পদার্থবিজ্ঞানে ডার্ক এনার্জি, স্ট্রিং থিওরি ও ইটারনাল ইনফ্লেশন এর দিকে ইঙ্গিত করে। মাল্টিভার্স বর্তমানে গাণিতিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এটি বাস্তবে exist করে কিনা তা অবজারভেশন এর মাধ্যমে বলা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।