জুমবাংলা ডেস্ক : টাইঙ্গাল জেলার সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের চাষিরা হলুদ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। হলুদ রোপন থেকে শুরু করে গাছের পরিচর্যা, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হচ্ছেন এই এলাকার চাষিরা।
জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে হলুদ চাষীরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হলুদ চাষ করে থাকেন। তাছাড়া চাষিদের কাছ থেকে বাজার থেকে পাইকারি দরে হলুদের ব্যবসায়ীরা হলুদ ক্রয় করে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জয়গায় সরবরাহ করে থাকেন।
হলুদ চাষী মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে ০৫ মণ হলুদ রোপন করেছিলাম। গত বছর হলুদ ক্ষেতের পরিচর্যার পর প্রায় ৯০ মণের মতো হলুদ পেয়েছি। কিছু হলুদ নিজেদের খাওয়ার জন্য রেখে বাকী হলুদ বাজারে পাইকারী দরে বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। তবে এ বছরও হলুদের ভালো ফলন পাবো বলে আশা করছি।
তরুণ উদ্যোক্তা হলুদ চাষী নাঈমুল ইসলাম বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে হলুদ চাষ করে আসছি। জমিতে গত বছরের বৈশাখ মাসে ০৫ মণ হলুদের বিছুন রোপন করার পর হলুদ চাষাবাদ বাবদ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ মাস হলুদ ক্ষেতের পরিচর্যার পর গেল ফাল্গুন মাসে হলুদ ক্ষেত থেকে প্রায় ৫০ মণের মতো হলুদ পেয়েছি। স্থানীয় বাজারে কাঁচা হলুদ পাইকারী দরে ১১০০ টাকা মণ বিক্রি করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মন বলেন, সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হলুদ চাষীরা ৩৯০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করছে। বিভিন্ন কৃষি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতের হলুদের প্রদর্শনী এবং হলুদ চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা হলুদ চাষাবাদে ভালো অবদান রাখতে পারবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও কৃষকরা স্বচ্ছলতা অর্জন করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।