জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদে শুকনো মৌসুমে জেগে ওঠে বিস্তীর্ণ চর। এই বালুময় চরাঞ্চলে চাষাবাদ হয় সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। এ বছর চরের অধিকাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা। উপজেলার অন্যান্য জমির পাশাপাশি সরিষার হলুদ ফুলে অপরূপ সাজে সেজেছে দুধকুমার নদের চরাঞ্চল। হেমন্তের সকালে সোনালি রোদের উষ্ণতায় মৌমাছিরা মধু আহরণ করতে ব্যস্ত। মধু আহরণে আসা মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত সরিষা ক্ষেত।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে এবার। বারী ১৪, ১৭, ১৮ ও বিনা ৮, ৯ ও ১১ জাতের সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা।
এ বছর বন্যায় ও উজান থেকে স্রোতে ভেসে আসা পলিমাটির আবরণ পড়ে উর্বর আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে দুধকুমার নদের বুকে জেগে ওঠা চর। সেখানে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা করছে নদীভাঙা জনপদ। সরিষাসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষ করে পরিবারে চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তারা।
সরেজমিনে উপজেলার পাইকেরছড়া, গছিডাঙ্গা, কালীহাট, পাইকডাঙ্গা, চর উত্তর তিলাই, দক্ষিণ ছাট গোপালপুরের বইজার চর, চর বারুইটারী ও চর বলদিয়ার দুধকুমার নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যতদূর চোখ যায় কেবলই হলুদ আর সবুজের সমারোহ। শত শত হেক্টর জমিতে সরিষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানান, সরিষা খুবই লাভজনক ফসল। অতি অল্প সময়ে, অল্প পুঁজিতে কৃষকরা লাভবান হন। তাই অধিকাংশ কৃষক এখন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। আমন ও বোরো চাষের মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করছেন চাষিরা। ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। তাই সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা।
পাইকের ছড়া চর এলাকার সরিষা চাষি হামিদ ও জয়ফুল জানান, তারা দুধকুমার নদীতে জেগে ওঠা চরে সরিষা চাষ করেছেন। তারা আশা করছেন খুব ভালো ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, সরিষা মূলত একটি মসলা জাতীয় ফসল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক তেল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনায় সার ও বীজ সঠিক সময়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।