জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হলের আসন বণ্টনের ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে বৈষম্যের শিকার হওয়ার দাবি করেছেন এক শিক্ষার্থী। পাশাপাশি হলের প্রাধ্যক্ষ তাকে অপমান ও অসহযোগীতা করেছেন বলেও দাবি তার। এর প্রেক্ষীতে ঘোষিত ফলাফল বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। তবে, হলের প্রাধ্যক্ষ বলছেন, ওই শিক্ষার্থীর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এসব অভিযোগ ও প্রচার করছেন ওই শিক্ষার্থী।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদা নাসরিন কনক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সংযুক্তি (অ্যাটাচমেন্ট) হলো রহমতুন্নেসা হল।
সংবাদ সম্মেলনে তাহমিদা নাসরিন কনক দাবি করেন, জ্যেষ্ঠতা, ফলাফল ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপর ভিত্তি তার মোট স্কোর ৯২ হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে মেধাতালিকায় তার অবস্থান হওয়ার কথা প্রথম। আবার সহশিক্ষা কার্যক্রমের মার্ক বাদ দিলেও তার স্কোর হয় ৮৯। সেক্ষেত্রে মেধাতালিকায় তার অবস্থান দ্বিতীয় হওয়ার কথা। কিন্তু ৮৪.৩৪ স্কোর পেয়ে অন্যরা আসন পেলেও তিনি আসন পাননি। ফলে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও দাবি করেন, সিট বরাদ্দের এই ত্রুটিপূর্ণ তালিকা বাতিল করে এবং স্বচ্ছতার সাথে নতুন বরাদ্দ দিয়ে সকল ধরনের বৈষম্য ও হয়রানি দূর করতে হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সিটের ন্যায্য হিস্যা না বুঝিয়ে দিলে তিনি প্রশাসন ভবনের সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
আবাসিকতার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগের একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আবাসিকতার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে হলে সিটের জন্য সাদা কাগজে আবেদনপত্র দিতে গেলে তিনি (প্রাধ্যক্ষ) আমার আবেদনপত্র ফিরিয়ে দেন এবং বলেন, ‘তোমাকে দেখেতো হতদরিদ্র মনে হয় না। তোমার বাবা এতোদিন তোমাকে বাইরে রাখতে পেরেছে, আরও কিছুদিন পারবে আমার মনে হয়। তুমি একটু কষ্ট করে বাইরেই থাকো; আগে ৫টা জামা কিনলে এখন ২টা কিনবা।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমত আরা বেগম বলেন, আমি তাকে কোনোরকম অপমান ও অসহযোগীতা করিনি। সে আমার নামে মিথ্যাচার করছে। হয় সে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছে, অথবা একটা মহল তাকে লেলিয়ে দিয়েছে। আমাকে সে হেয়প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে। সে-ই হলে এসে আমার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে এবং অসদাচারণ করেছে। আমি তাকে বারবার মাথা ঠাণ্ডা করে বসতে বলেছি এবং তাকে তার ফলাফল দেখাতে চেয়েছি। কিন্তু তার একই কথা, সে বসবে না, সে সিট নিয়েই এখান থেকে যাবে। ঘটনাস্থলে আরও কয়েকজন ছাত্রী উপস্থিত ছিল।
তাহমিদা নাসরিন কনক দাবি করেছেন, ফলাফলে তার স্কোর হওয়ার কথা ৯২ অথবা ৮৯। সেই হিসেবে সে মেধাতালিকায় ১ম বা ২য় হওয়ার কথা। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তার স্কোর হয়েছে ৮২ এর একটু বেশি। আর মেধাতালিকায় থাকা সর্বশেষ ছাত্রীটির স্কোর ৮৪.৩৪।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।