Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home হাওরের আশ্চর্য গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দারা
    লাইফস্টাইল

    হাওরের আশ্চর্য গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দারা

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কMay 17, 2024Updated:May 17, 20244 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : অস্থায়ী ‘গ্রামগুলো’ হাওরের বাইরের আশেপাশের অঞ্চল থেকে আসা কৃষকেরা তৈরি করেন। স্থানীয়ভাবে যারা ‘জিরাতি’ নামে পরিচিত। এই কৃষকরা হাওরে তাদের নিজেদের জমিতে কিংবা শুধু লিজ নেওয়া জমিতে কাজ করেন। কিন্তু তাদের পরিবার এখানে থাকেন না। শুষ্ক মৌসুমে কৃষকরা এসব বাড়িতে থাকেন ও জমি চাষ করে। পাশাপাশি দু-একটি গবাদি পশুও পালন করেন।

    হাওরের আশ্চর্য গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দারা

    হাওর বেশ আশ্চর্য এক জায়গা।

    বছরের ছয় মাস হাওর থাকে মিঠাপানিতে পরিপূর্ণ। যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই কেবল পানি আর দিগন্তের মাঝে গ্রামের দৃশ্য ভেসে ওঠে। আর এই সময়টাতে সেখানকার লোকজনের বসবাস ও বেশিরভাগ কর্মকাণ্ড গ্রামের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে।

    অন্যদিকে, পানি কমে গেলে বিস্তীর্ণ মাঠ পুনরায় জেগে ওঠে। তখন হাওর হয়ে ওঠে বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ। এছাড়াও, এই সময়ে পানিতে নিমজ্জিত রাস্তাগুলিও জেগে ওঠে; যোগাযোগের নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হয়। তখন হাওর এলাকা ঘুরে দেখাও বেশ সহজ হয়।

    ফেব্রুয়ারিতেই কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে ছিল বোরো ধানের সমারোহ। যেন সোনালি ধানের সাম্রাজ্য! কষ্টার্জিত সেই ধান গোলায় ভরতে সময় লেগে গেল মে মাসের প্রথমদিন পর্যন্ত। এখন গোলাভরা ধানসহ বাড়িঘর গুটিয়ে অন্য গন্তব্যে চলে যাওয়ার পালা! কারণ বৃষ্টি শুরু হলেই হাওর ভরে যাবে থৈ থৈ পানিতে!

    কার্তিকে আগমন, বৈশাখে বিদায়
    বোরো মৌসুমে হাওরে ধানখেতের মাঝখানে চোখে পড়বে অস্থায়ী ‘গ্রাম’ ও ছোট ছোট কুঁড়েঘর। এসব ঘর বানিয়ে বসবাস করেন জিরাতিরা। আশপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে গাছপালা কিংবা ছায়া নেই। গবাদি পশুর সঙ্গে গাদাগাদি করে গলাঘরে রাত কাটান তারা। এসব মানুষের নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার টয়লেট কিংবা রাতে ঘুমানোর মতো জায়গা।

    অস্থায়ী ‘গ্রামগুলো' হাওরের বাইরের আশেপাশের অঞ্চল থেকে আসা কৃষকেরা তৈরি করেন। স্থানীয়ভাবে যারা ‘জিরাতি’ নামে পরিচিত। এই কৃষকরা হাওরে তাদের নিজেদের জমিতে কিংবা শুধু লিজ নেওয়া জমিতে কাজ করেন। কিন্তু তাদের পরিবার এখানে থাকেন না। শুষ্ক মৌসুমে কৃষকরা এসব বাড়িতে থাকেন ও জমি চাষ করে। পাশাপাশি দু-একটি গবাদি পশুও পালন করেন। হাওর বেশ আশ্চর্য এক জায়গা। বছরের ছয় মাস হাওর থাকে মিঠাপানিতে পরিপূর্ণ। যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই কেবল পানি আর দিগন্তের মাঝে গ্রামের দৃশ্য ভেসে ওঠে। আর এই সময়টাতে সেখানকার লোকজনের বসবাস ও বেশিরভাগ কর্মকাণ্ড গ্রামের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে। অন্যদিকে, পানি কমে গেলে বিস্তীর্ণ মাঠ পুনরায় জেগে ওঠে। তখন হাওর হয়ে ওঠে বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ। এছাড়াও, এই সময়ে পানিতে নিমজ্জিত রাস্তাগুলিও জেগে ওঠে; যোগাযোগের নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হয়। তখন হাওর এলাকা ঘুরে দেখাও বেশ সহজ হয়

    কিশোরগঞ্জের নিকলী, মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম—এ চারটি হাওর উপজেলায় কার্তিক থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে গলাঘরে বসবাস করেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার জিরাতি। এই অস্থায়ী গ্রামগুলোতে প্রায়শই মাত্র কয়েকটি বাঁশের তৈরি ঘর থাকে। এগুলো শুধু শুষ্ক মৌসুমের জন্য তৈরি করা হয় এবং বর্ষায় বন্যার আগে ভেঙে ফেলা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের ছয় মাস জীবনকে তুচ্ছ করে মাঠে পড়ে থাকেন হাজার হাজার কৃষক।

    জীবন সেখানে যেমন
    মোবারক মিয়ার বয়স ৪১ বছর। বর্ষায় তিনি থাকেন নেত্রকোনায়। শুষ্ক মৌসুমে চলে আসেন নিকলী হাওরে। বাড়িতে তিনি গরুর দেখভাল করেন আর তার স্ত্রী তমা বানু হাঁসের ঝাঁক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাদের এই কর্মযজ্ঞ হচ্ছে বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝখানে তিনটি ঘরকে কেন্দ্র করে; যেখানে তারা বাস করেন।

    তাদের বাড়ির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেছে, ছোট্ট কুঁড়েঘরে তারা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ঘুমান। মাচার নিচেই রাখা হয় গবাদি পশু। চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বসবাস করা এসব মানুষের ভাগ্যে জোটে না পুষ্টিকর খাবার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মোটা ভাত আর মরিচভর্তা কিংবা পান্তা ভাত দিয়ে চলে খাবার। নেই বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা।

    রফিক মিয়া নামের এক কৃষক জানিয়েছেন, প্রতিবছরই ঘরগুলো মূলত নিজস্ব নকশা থেকে নির্মাণ করা হয়। ঘরগুলোতে থাকে টিনের ছাদ, বাঁশের বেড়া। সাথে কিছু আসবাবপত্র ও রান্নার জিনিসপত্রও থাকে। কৃষকরা সেচের জন্য একটি ডিজেল পাম্পসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত কৃষি সরঞ্জামও নিয়ে আসেন। এমনকি পুরো মৌসুমের রান্নার জন্য তারা জ্বালানি কাঠ নিয়ে আসেন।

    এত কষ্ট, তবুও কেন আসেন?
    জিরাতিদের অবস্থা এখন আগের মতো নেই। অভাব-অনটনে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছেন তারা। গত ৩ বছর ধরে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলেও এর পূর্বে কয়েকবার হাওর ডুবির কারণে অনেক জিরাতি এখন আর এখানে আসেন না। প্রবীণ জিরাতি সুধন্য মল্লিক বলেন, ‘বাপ-দাদার জমি ছাইড়া যাইতে মন চায় না। তাই প্রতিবছর এমন সময়ে এখানে আসি। জিরাত করে যাই পাই তাই লইয়া বাড়িতে যাই।’

    দুঃখ-কষ্ট ভোলেন ভালো ফলনে
    প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয় খেতের আলে। আছে শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাতসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা। তবে এ সবকিছু তুচ্ছ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকরা বছরের ছয়টি মাস পড়ে থাকেন হাওরে। নিজেদের ঘরবাড়ি, আত্মীয়স্বজন ফেলে কার্তিক মাসে তারা পাড়ি জমান হাওরে। জমি তৈরি করা, চারা রোপণ, সেচ, পরিচর্যা থেকে শুরু করে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই শেষে নতুন ধান সঙ্গে নিয়ে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বাড়ি ফেরেন জিরাতিরা।

    ভালো ফলন হলে একর প্রতি ৮০ থেকে ৯০ মণ ধান পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে উৎপাদিত শস্যগুলো তারা কিশোরগঞ্জে নিজ বাড়িতে নিয়ে তারপর বাজারে বিক্রি করবেন। ফলন ভালো হলে তাদের মুখে হাসি ফোটে। ভুলে যান পেছনের দুঃখ-কষ্ট। আবারও প্রস্তুতি নেন পরের বার হাওরে যাওয়ার।

    বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ এভাবেই চলছে জিরাতিদের জীবনচক্র! বাপ-দাদা থেকে শুরু করে তাদেরও আগের বংশধররা এভাবেই চালাচ্ছেন নিজেদের কৃষিকাজ। কিন্তু নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই খাদ্য সৈনিকদের খবর নেয় না কেউ। তাদের জিরাতিকালে জীবনমান উন্নয়ন কিংবা সামান্য পানীয়জল আর স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হলে দেশের জন্য তারা আরো বেশি অবদান রাখতে পারবেন।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অস্থায়ী আশ্চর্য গ্রামের বাসিন্দারা লাইফস্টাইল হাওরের
    Related Posts
    কালো দাগ

    চোখের নিচের কালো দাগ দূর করুন এই কৌশলে

    July 26, 2025
    ইসলামিক বিবাহ পরামর্শ

    ইসলামিক বিবাহ পরামর্শ:সফল দাম্পত্যের মূলমন্ত্র

    July 26, 2025
    Modhu

    মধু কেন কখনও নষ্ট হয় না? অনেকেই জানেন না

    July 26, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Heilongjiang Farming Boosted by Digital Innovation

    Heilongjiang Farming Boosted by Digital Innovation

    ওয়েব সিরিজ

    সামনে এলো ভরপুর মাস্তি নিয়ে নতুন ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন

    Google Pixel 9

    এ বছরের সেরা ক্যামেরা ফোন, কোনটি আপনার জন্য পারফেক্ট দেখে নিন

    ওয়েব সিরিজ

    নতুন রোমান্সে ভরপুর সাথে চরম রহস্য! একা দেখার মত সেরা ওয়েব সিরিজ

    অর্থ উপদেষ্টা

    দেশের ব্যাংকিং খাত উদ্ধারে প্রয়োজন ১৮-৩৫ বিলিয়ন ডলার : অর্থ উপদেষ্টা

    Venezuela Brazil tariff

    Venezuela’s Brazil Tariffs Threaten Decade-Long Trade Ties

    ওয়েব সিরিজ

    ঝড় তুললো রোমান্সে ভরপুর নতুন এই ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন!

    PewDiePie

    PewDiePie: Revolutionizing YouTube with Unfiltered Authenticity

    BMW-i5-M60-xDrive

    BMW i5 xDrive40 : দ্বৈত মোটরে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স, আসছে সেরা ইলেকট্রিক গাড়ি

    Nahid

    বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন হবে : নাহিদ

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.