জুমবাংলা ডেস্ক: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন রাজধানীর নটরডেম কলেজের ছাত্র আসীর আনজুম খান। আসীর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ষষ্ঠ ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভর্তি পরীক্ষায় অষ্টম স্থান অর্জন করেন।
দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী কলেজের (মেঘনা শাখা) আবির আহমেদ হাসনাইন। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী রেজোয়ান রাহী রাদ। এর আগে রেজোয়ান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভর্তি পরীক্ষায়ও ৩৩তম স্থান অর্জন করেন।
গত শনিবার (১৮ জুন) বুয়েটের মূল ভর্তি পরীক্ষা সকাল ও বিকেল দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মডিউল-এ সকাল ১০টা-১২টা ও প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের জন্য মডিউল-বি দুই শিফটে দুপুর ২-৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। সকালে মডিউল-এ এর উপস্থিতির হার ছিল ৯৯.৭৫ শতাংশ এবং বিকেলে মডিউল-বি এর উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯১.৮৯ শতাংশ।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বৈশ্বিক মহামারির কারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৭ হাজার ৩৪ শিক্ষার্থী প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের ১ম থেকে ৩০০০তম পর্যন্ত দুই শিফটে (মডিউল-এ এবং মডিউল-বি) মোট ৬ হাজার ৮৮ শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৬৩২ জন ও মেয়ে শিক্ষার্থী ১ হাজার ৪৫৬ জন।
মূল ভর্তি পরীক্ষা লিখিত আকারে দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম শিফটের পরীক্ষা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ শিফটে মডিউল-এ ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা হয়। আর দ্বিতীয় শিফটে দুপুর ২টা থেকে কিলে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এ শিফটে মডিউল-বি ‘খ’ গ্রুপের জন্য মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি বিষয়ে পরীক্ষা হয়।
প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের অধীনে ১২টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি ও স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট ১ হাজার ২৭৯টি আসনের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৪ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।