জুমবাংলা ডেস্ক: বাড়িটির চারপাশের গাছগাছালিতে শান্তির নীড় বুনেছে হাজার হাজার পাখি। পরম যত্নে বড় করছে নতুন প্রজন্মকে, রক্ষা পাচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্যও। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শ্যামের কোনা গ্রামের প্রয়াত সুন্দর আলী লন্ডনির বাড়িটি এখন পাখিদের অভয়াশ্রম।
গাছে গাছে আবাস গেড়েছে বাবুই, সারলী, বক, পানকৌড়িসহ নানা জাতের পাখি। দর্শনার্থীদের কাছে তাই বাড়িটির পরিচিত ‘পাখিবাড়ি’ নামেই।
দুই ছেলে শামীম ও জয়নালও লন্ডনপ্রবাসী। বিশাল বাড়িতে থাকেন শুধু প্রয়াত সুন্দর আলী লন্ডনির স্ত্রী। পাখিরাই একাকীত্ব দূর করে তার।
পাশের করাঙ্গীরবিল, মনুনদী ও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে রয়েছে পাখিদের পর্যাপ্ত খাবার। সারাদিন সেখানে কাটিয়ে সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরে, ভোর হলে আবার চলে যায়।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে পাখি আসে এখানে। বিকালবেলা সব পাখি ফেরে, তখন এখানে এসে সেই দৃশ্য দেখি।
চার কিলোমিটার দূরের বর্ষিজোড়া গ্রামে নৃপেন্দ্র বৈদ্য ও চম্পা বৈদ্যের বাড়িতে বাস করতো এই পাখিরা। একসময় একদল পাখিশিকারি জমিতে জালের ফাঁদ পেতে ধরে নিয়ে যায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি। বাকিরা বাসা বদলে আশ্রয় নেয় এখানে।
পাখিদের রক্ষায় সুন্দর আলীর পাখিবাড়িতে নজরদারি রয়েছে বন বিভাগেরও।
মৌলভীবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি এই বাড়িতে যেন কোন রকম শিকারের পদ্ধতি না ঘটে, শিকার না হয়। খোঁজখবর রাখছি এবং সার্বিক যোগাযোগ আছে।”
বেঁচে থাকতে প্রয়োজনীয় পাখিরক্ষায় বাড়িটির ভূমিকা আর গ্রামবাসীর গণসচেতনতা প্রশংসা পাচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমিদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।