লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রকৃতির নিয়মে মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে একদিন। কিন্তু তা যেন ভয়ংকর না হয় এটাই সবার কাম্য। তবে পৃথিবীতে এমন সব স্থান রয়েছে যেসব স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। এমনই কিছু ভয়ংকর অজানা স্থানের বিশেষ তথ্য থাকছে আজকের আয়োজনে।
মৃতদের এই স্থানগুলো চীন, ইতালি, প্যারিস, মেস্কিকো আর পাপুয়া নিউ গিনিতে দেখতে পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই সেসব স্থানের অজানা কিছু তথ্য।
১) দক্ষিণ চীনের ঝুলন্ত কবর: দক্ষিণ চীনের বেশ কয়েকটি স্থান রয়েছে যেখানে গেলে আপনাকে অবাক হতেই হবে। কারণ এইসব স্থানগুলো মৃতদের কবর। তবে কবর স্থান বলতে আমরা যেমন বুঝি তেমন মোটেও নয়। এই কবরে মৃতদেহগুলো পাহাড়ের গায়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বো জনগোষ্ঠীর লোকেরা এমনটা করেছিলেন। এ ধরনের কবর দেওয়া শুরু হয় প্রায় ৪০০ বছর আগে। তবে শুধু সে সময়ই নয়, তার বহু আগে চীনেও এভাবে কবর দেওয়ার প্রথা ছিল। ২০১৫ সালে এক দল গবেষক চীনের হুবেই প্রদেশে খুঁজে পেয়েছেন ১৩১টি এ ধরনের ঝুলানো কফিন যেগুলো প্রায় ১২০০ বছর আগের।
২) ইতালির বোন চার্চ: ইতালির রাজধানী রোমে রয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর জন্য একটি চার্চ। তবে এ যেন তেন কোনো চার্চ নয়। এ চার্চে রয়েছে অসংখ্য মানুষের হাড়। ধারণা করা হয়, এখানে যেসব মৃতদেহের হাড় রয়েছে তা ১৬০০ থেকে ১৮০০ সালের। চার্চটির ভেতরের পাঁচটি অদ্ভুত কক্ষ রয়েছে যেখানে প্রায় তিন হাজার সাতশ সন্নাসীর অস্থি রয়েছে। এইসব হাড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যিশুখ্রিস্টের হাত তুলে থাকার প্রতিকৃতি।
৩) প্যারিসের সমাধি টানেল: বিশ্বখ্যাত ভূ-গর্ভস্থ সমাধিক্ষেত্রটি প্যারিসে অবস্থিত। এখানে অসংখ্য মানুষের অস্থি সজ্জিত রয়েছে। তবে ১৮৫৯ সালে সালে জনবহুল শহর প্যারিস থেকে এ কবরস্থান সরানো কাজ শুরু হয়। এ প্রক্রিয়ায় ফরাসি বিপ্লবের সময় গিলোটিনে প্রাণ দেওয়া বহু ব্যক্তির কবরও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
৪) মেস্কিকোর অদ্ভূত কবর: মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া সুর নামে রাজ্যটির লা পাজ বে এলাকায় এল কনচ্যালিতো নামে অদ্ভুত এক কবর রয়েছে। এ কবরে ২৩০০ বছর আগের মানুষের দেহাবশেষ রয়েছে। তবে কবরটি এখনকার সাধারণ কবরের মতো নয়। এ কবরে মানুষের দেহ সাজানো রয়েছে সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলস দিয়ে। মোট ৫৭টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে এ কবরস্থানে। অধিকাংশ মৃতদেহের খুলি অক্ষুন্ন অবস্থায় থাকলেও এদের দেহের অধিকাংশই বিচ্ছিন্ন করে কবরস্থ করা হয়েছে। তবে কেন এমনটা করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৫) পাপুয়া নিউ গিনির স্মোকড মমি: পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে আদিমতার একটা সম্পর্ক রয়েছে অনেক আগে থেকেই। এখানেই পাওয়া যায় অদ্ভুত কিছু মমি। যেগুলো মূলত পাওয়া গিয়েছিলো পাপুয়া নিউ গিনির অ্যাসেকি এলাকার কোক গ্রামে। সেখানে কেউ মারা গেলে তারা মৃতদেহ সৎকার করে অদ্ভুত প্রক্রিয়ায়। এখানে কেউ মারা গেলে মৃতদেহকে প্রায় ৩০ দিন তারা আগুনের ধোঁয়ার মাঝে রেখে দেয়। এরপর তা লাল মাটি দিয়ে লেপে দেওয়া হয়। ধোঁয়ায় কিছুদিন রাখার ফলে মৃতদেহ আর্দ্রতামুক্ত হয়ে যায় এবং বহুদিন অক্ষত থাকে। এভাবেই মৃত্যুর পর মমিগুলো তৈরির প্রচলন রয়েছে এই গ্রামে।
সূত্র: ইন্টারনেট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।