Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home হাত-পা বাঁধা ৮ বছর, নীরবেই ঝরে যাচ্ছে একটি প্রাণ
    বিভাগীয় সংবাদ রংপুর

    হাত-পা বাঁধা ৮ বছর, নীরবেই ঝরে যাচ্ছে একটি প্রাণ

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কOctober 18, 20204 Mins Read
    Advertisement

    শিশুটিকে বেঁধে রাখার দৃশ্য দেখে যে কারও মনে হবে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এর পেছনে রয়েছে আট বছরের কষ্টের গল্প। সে যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে এজন্য সবসময় তাকে বেঁধে রাখা হয়। কয়েক বছর ধরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাতলামারী গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও নাছরিন বেগম দম্পতির শিশুসন্তান নীরবের (১০) এমনই বন্দি জীবন কাটছে। বিনা চিকিৎসায় ঝরে যাচ্ছে একটি প্রাণ।

    জানা গেছে, বেশি মানুষ দেখলেই নীরবে চোখে-মুখে হিংস্রতা দেখা দেয়। কখনও কামড় দিতে আসে আবার কখনও মাথা দিয়ে আঘাত করতে আসে। সুযোগ পেলেই প্রতিবেশীর ক্ষতি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে নীরবের চিকিৎসায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করা হলেও মেলেনি সুস্থতা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে এখন ছেলের মৃত্যু কামনা করছেন মা নাছরিন বেগম।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাতলামারী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নাছরিন বেগমের সঙ্গে কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মন্ছুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি নানা বাড়ি নীরবের জন্ম হয়। জন্মের দুদিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে নীরব। পায়খানার সঙ্গে রক্ত দেখা যায়। প্রথমে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ অবস্থায় নীরবের বাবা ছেলে ও স্ত্রীকে আর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাননি। সেই থেকে নীরব নানার বাড়িতেই থাকে।

    পরে এক বছর বয়সেও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না নীরব। অন্য দশটি শিশুর থেকে আলাদা এক বছরের শিশুকে নিয়ে মা নাছরিন বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জানতে পারেন বিভিন্ন সমস্যার কথা। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা শুরু করেন।

    এক বছর পর মাটি খুঁড়ে গর্ত করে নীরবকে সারাদিন গর্তে রাখতে শুরু করে পরিবার। যাতে সে হেলে না পড়ে। এভাবে বছর খানেক রাখার পর হাঁটতে শুরু করলেও কথা বলতে পারে না নীরব। ধীরে ধীরে কথা বলতে পারলেও ভালোমন্দ বুঝতে পারে না। যখন যা মন চায় তাই করতে থাকে। শক্ত বস্তুতে নিজের মাথা ঠুকতে থাকে। এভাবে বছর দুই যেতে না যেতেই মানুষের ক্ষতি করা শুরু করে। তখন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতে শুরু করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু গাছের সঙ্গে এক হাত বা এক পা বেঁধে রাখলে নিজের মাথা গাছের সঙ্গে ঠুকতে থাকে সে। তাই দুই হাত টানা দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়।

    ঘুমের ওষুধ ছাড়া কখনও রাতে ঘুমায় না নীরব। প্রতিদিন বিকেলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর রাতে বিছানায় দুই হাত ও দুই পা বেঁধে রাখা হয়। কারণ ঘুম থেকে উঠে সে যেন কারও ওপর আঘাত করতে না পারে।

    শিশু নীরবের মা নাছরিন বেগম বলেন, একজন মা কখনও সন্তানের মৃত্যু কামনা করে না। আমি মা হয়ে সন্তানের মৃত্যু কামনা করি। কারণ ছেলেকে সুস্থ করার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। খেয়ে না খেয়ে চিকিৎসা চালিয়েছি। এখন আর চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। সংসার চলে না। অভাবের কারণে কখনও কখনও ঠিক মতো পেটে খাবার জোটে না। কীভাবে ছেলের চিকিৎসা খরচ চালাব। ১০ বছর বয়সেও সে বিছানায় পায়খানা-প্রস্রাব করে। আল্লাহর কাছে বলি, হয় আমার মরন দাও, না হয় ছেলের মরন দাও। ছেলের কষ্ট আর সহ্য হয় না।

    নীরবের নানা নজরুল ইসলাম বলেন, নীরবকে প্রতিদিন সকালে দুই হাত দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখতে হয়। কারণ সে যেন গাছের সঙ্গে মাথা ঠুকতে না পারে। এর আগে অনেক বার গাছের সঙ্গে মাথা আঘাত করার তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়েছে। বেঁধে না রাখলে তার সমবয়সী শিশুদের মাথা দিয়ে আঘাত করে সে। অনেক সময় মাথা ব্যথার কারণে সে নিজের মাথায় ইট, পাথর অথবা গাছের সঙ্গে আঘাত করে। আমরা এখন কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।

    নীরবের নানি সুফিয়া বেগম বলেন, আমাদের সহায়সম্বল যা ছিল সব বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে নীরবের চিকিৎসা করেছি। এখন কীভাবে চিকিৎসা করাবো জানি না। বিনা চিকিৎসায় শিশুটি মারা যেতে পারে অথবা এই শিশুর হাতে কেউ মরতে পারে। তাকে নিয়ে আমরা সবসময় টেনশনে থাকি।

    স্থানীয় বাসিন্দা ছালমা বেগম বলেন, অনেক কষ্ট লাগে যখন দেখি শিশু নীরব চিৎকার করে বলছে, আমাকে ছেড়ে দাও খেলতে যাব। প্রতিদিন বেঁধে রাখতে হয় নীরবকে। কারণ সে ভালোমন্দ বোঝে না। কখন কী করতে হয়, কীভাবে খেলাধুলা করতে হয় তাও জানে না। আমাদের দেশে অনেক বিত্তবান লোক আছে। তারা কেউ নীরবের পাশে দাঁড়ালে হয়তো তার জীবন আশার আলো দেখতো।

    ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোলায়মান আলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নীরবের জন্য তেমন কিছু করার নেই। তবু আমরা চেষ্টা করবো সহায়তা করার। সরকার বা বিভিন্ন সংস্থা যদি নীরবের পাশে দাঁড়াতো তাহলে শিশুটি প্রাণ ফিরে পেত। তাকে আর ধুঁকে ধুঁকে মরতে হতো না।

    গাইবান্ধা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক প্রামাণিক বলেন, জেলায় অনেক প্রতিবন্ধী আছে। যারা অন্যদের থেকে আলাদা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    teknaf

    সাত কোটি টাকার ইয়াবাসহ ১৭ পাচারকারী আটক

    July 18, 2025
    Gazipur

    কালীগঞ্জে গরু চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, চোরাই গরু উদ্ধার

    July 18, 2025
    Foyzul Karim

    জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কার্যালয় বন্ধ করতে হবে: ফয়জুল করীম

    July 18, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Jamaat

    রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা

    Dhanmondi

    চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে গেল যুবক, ভিডিও ভাইরাল

    গোপালগঞ্জের ঘটনায় আ. লীগ তওবা করার সুযোগ হারিয়েছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

    Nahid Islam

    কোন চাঁদাবাজদের কাছে দেশ বর্গা দেয়া হবে না: নাহিদ

    Rizvi

    গোপালগঞ্জ কি ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্য? প্রশ্ন রিজভীর

    পাপিয়ার মন্তব্য ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

    astronomer ceo andy byron wife megan viral video

    Astronomer CEO Andy Byron’s Wife Megan Drops His Last Name After Viral Coldplay Video

    Papia-Sarjis

    প্রবাসীদের নিয়ে পাপিয়ার বিরূপ মন্তব্য, কড়া প্রতিবাদ সারজিসের

    Andy byron ceo statement

    Fact Check: Andy Byron CEO Statement Goes Viral After Coldplay Concert Kiss Cam Scandal

    Kenneth C Thornby

    Who Is Kenneth C Thornby? Truth Behind Kristin Cabot’s Ex-Husband After Viral Coldplay Kiss Cam Incident

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.