বিনোদন ডেস্ক :বলিউডের নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সুপারহিট নায়িকা কারিশমা কাপুর। বলিউডের তারকা দম্পতি রণধীর কাপুর ও ববিতার বড় মেয়ে তিনি। ক্যারিয়ার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৩ সালে বিয়ে করেছিলেন ভারতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে। এর ১৩ বছর বাদে ২০১৬ সালে সঞ্জয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন তিনি।
সঞ্জয়কে কারিশমা ডিভোর্স দিয়েছেন পাঁচ বছর হলো। কিন্তু এখনও তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ তুঙ্গে। এরই মধ্যে ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের কাছে নিজের ফেলে আসা সংসার ও বিচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বলেছেন কারিশমা।
কারিশমা জানিয়েছেন কেন তিনি ১৩ বছরের দাম্পত্যের পর বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছিলেন। কারিশমার বয়ানে, সঞ্জয় মানুষ হিসেবে ছিলেন একেবারেই নিম্নশ্রেণির। প্রচণ্ড হিংস্রতা ছাড়া তার মধ্যে আর কোনো মানবিক গুণ ছিল না। এমনকি হানিমুনে গিয়ে সেই রাতেই সঞ্জয় কারিশমাকে তার এক বন্ধুর কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। এজন্য বন্ধুদের নিলামে দরও হাঁকা হয়েছিল। কিন্তু কারিশমা এই প্রস্তাবে রাজি না থাকায় সঞ্জয় তার ওপর শারীরিক অত্যাচার শুরু করেন।
নিউজ এইটিনের কাছে সাক্ষাৎকারে কারিশমা জানান, বিয়ের পরদিন থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর মানসিক অত্যাচার করতে আরম্ভ করেন। চাপ দিয়েছিলেন অভিনয় ছাড়তে। একপর্যায়ে নিয়মিত অভিনয় ছেড়ে দেন কারিশমা।
কারিশমা কাপুর আরও জানান, বিয়ের পরও তার সাবেক স্বামী সঞ্জয় আগের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। সেইটা কেবল ‘ভালো বন্ধুত্বের’ সম্পর্ক নয়। দুজনের মধ্যে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কও ছিল। আর সেই বিষয়টাতে ছিল না কোনো রাখঢাক। কারিশমার সামনেই সঞ্জয় তার সাবেক স্ত্রী ডিজাইনার নন্দিতা মাহতানিকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন। এ সম্পর্কের বিরুদ্ধে কথা বলায় দিনের পর দিন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন কারিশমা। এর মধ্যেই কারিশমা সঞ্জয়ের দুই সন্তান জন্ম নেয়।
২০১৫ সালে সন্তানদের কথা ভেবে কারিশমা শ্বশুরবাড়ি দিল্লি থেকে বাবার বাড়ি মুম্বাইয়ে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরের বছর বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।