কাবির আবদুল্লাহ্,হাবিপ্রবি: গবেষণায় হাবিপ্রবির উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন“হাবিপ্রবি গবেষণা কর্মে আরও অনেক এগিয়ে যাক।”
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অভ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে তিন দিনব্যাপী “বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৩ এবং আইআরটি বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন ২০২১—২২ এর মোড়ক উন্মোচন” অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম—২ এ উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের, সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. বেগম ফাতেমা জোহরা। স্বাগত বক্তব্য শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও বিস্তারিত কর্মকাণ্ড ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে আইআরটি’র বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম স্লাইডের মাধ্যমে তুলে ধরেন পরিচালক প্রফেসর ড. এস.এম. হারুন উর রশিদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন,“বাংলাদেশকে নিয়ে একসময় উপহাস করে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিল। আজ তারাই বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করছে।দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আন্তজার্তিক পর্যায়ে উন্নিত করতে হবে, এক্ষেত্রে গবেষণার কোন বিকল্প নেই।” তিনি তার দীর্ঘ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষণার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যথাযথ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ ও ভাষা শহিদদের। তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দূরদর্শী চিন্তা থেকে বিজ্ঞানের উপর জোর দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হল সেখানে জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জ্ঞানের সৃষ্টি হবে অর্থাৎ গবেষণা হবে। সেই গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার বরাদ্দ দিচ্ছেন, আমি আশা করি সে গুলোকে আপনারা ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। তিনি বলেন, হাবিপ্রবি গবেষণা কর্মে আরও অনেক এগিয়ে যাক সেই শুভকামনা রইল। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আপনাদের গবেষণা কর্ম সহায়ক হবে বলে মনে করি।”
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, “জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এক্ষেত্রে একটি দেশের উন্নতি করার ক্ষেত্রে গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই গবেষণা হতে হবে মানসম্পন্ন। সামনের দিন গুলোতে গবেষণা ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা আরও অনেক বেড়ে যাবে।” উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন আপনাদের গবেষণা ফলাফল অবশ্যই কমপক্ষে ইনডেক্স জার্ণালে প্রকাশ করতে হবে। পরিশেষে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পাশপাশি ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের ও অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পরিশেষে সমাপনি বক্তব্য প্রদান ও সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইআরটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. এস.এম. হারুন উর রশিদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।