আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ সেনা কিয়েভে ঢুকে পড়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিতে শুরু করেন সেখানকার অনেক বাসিন্দা।
স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মেট্রো ট্রেনগুলো আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্ল্যাটফরমেও অনেকে আশ্রয় নেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তারা টেলিগ্রামের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন। স্বজন-বন্ধুদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ এই অ্যাপের মাধ্যমেই।
কিয়েভের মেট্রো রেলস্টেশনে এক শিশুর জন্ম হয়েছে। সন্তানটি কন্যাশিশু টেলিগ্রামের একটি উন্মুক্ত গ্রুপে শিশুটির একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সন্ধ্যার আগেই শহরটির বিভিন্ন সড়ক ফাঁকা হওয়া শুরু হয়। ইউক্রেনের সৈন্যরা একের পর এক গাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কৌশল বিবেচনায় তারা অবস্থান নেয়। রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় কিয়েভের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলকানি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করেন রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিকে অন্যতম বড় হামলার ঘটনা হিসেবে বলা হচ্ছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক এক লাখ বাসিন্দা ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।
যাচাই করে নিন আপনার দৃষ্টিশক্তি, ছবিতে কয়টি নাম্বার আছে খুঁজে বের করুন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।