সম্পর্ক ভাঙা-গড়া জীবনে আসতেই থাকে। কিন্তু মাঝপথে যদি থেমে যায় সেই সম্পর্কের গতি? যেকোনও ব্যক্তির জন্যই তা সুখকর নয়। জীবনের ঠিক এমনই একটি মোড়ে এসে পৌঁছেছেন হার্দিক-নাতাশা। তাদের দাম্পত্য জীবন নাকি এখন শেষপর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অভিনেত্রীর সঙ্গে ক্রিকেটারের সম্পর্ক মেরামত হওয়ার আর কোনও রাস্তাই নেই। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের কাছে এ কথা জানিয়েছেন তারকা দম্পতির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
হার্দিক-নাতাশার সুখের সংসারে ভাঙনের জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। এমনকি টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পরও হার্দিক ও নাতাশাকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানেও হার্দিককে একাই নাচতে দেখা গেছে। আবারও প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ক্রিকেটার-অভিনেত্রীর বিচ্ছেদ অবধারিত?
সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন হার্দিক-নাতাশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি বলেন, হার্দিক-নাতাশার বিচ্ছেদ সম্ভবত পাকা। ওদের মান-অভিমানের পালা মিটিয়ে সম্পর্ক মিটমাট করার কোনও লক্ষণ নেই। ওরা কেউ সেই অবস্থাতেও নেই।
অতঃপর হার্দিক ও নাতাশা যে নিজেদের সম্পর্ক শুধরে নিতে রাজি নন, তা বেশ স্পষ্ট! সবশেষে অবশ্য তাদের বন্ধু এও জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা কেউ বলতে পারে না। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে হার্দিক-নাতাশার সম্পর্ক ঠিক হওয়ার আশা ক্ষীণ।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে হার্দিক ও নাতাশার বাগদান হয়। সে বছরের মে মাসেই বিয়ে সারেন তারা। তখন করোনার প্রকোপ ছিল। তাই সেই সময় সাদামাটাভাবে বিয়ে সেরেছিলেন ক্রিকেটার ও অভিনেত্রী। বিয়ের আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন নাতাশা। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ছেলের জন্ম দেন তিনি। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উদয়পুরে ধুমধাম করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সারেন হার্দিক ও নাতাশা।
প্রসঙ্গত, এর আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নাতাশা স্ট্যানকোভিচ পাণ্ডিয়া লিখতেন হার্দিকপত্নী। কিন্তু তা নেই। এমনকি, ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে হার্দিকের সঙ্গে নাতাশার আর কোনও ছবিও নেই। টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন হার্দিক। ভিডিও কল করে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তাতেই মনে করা হয়েছিল, হার্দিক ও নাতাশার মধ্যে হয়তো দূরত্ব কমেছে।
কিন্তু তার মাঝেই অভিনেত্রীর ভিডিও বার্তা ফের মনোমালিন্যের জল্পনা বাড়িয়েছিল। এবার তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুই সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন, হার্দিক-নাতাশার সম্পর্ক শেষ!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।