জুমবাংলা ডেস্ক :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার খবর শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসে তার বাবা ছেলেকে দেখেই তিনি হুহু করে কেঁদে ওঠেন।
বেশ কিছুক্ষণ ছেলের পাশে বসে কথা বলেন, তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন বলেন, আমরা কি বাংলাদেশের নাগরিক না? তা হলে আমাদের ওপর কেন এই বারবার হামলা? কেন আমাদের নিয়ে অনধিকার চর্চা করা হয়?
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ডাকসু ভবনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত ডাকসু ভিপি নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার এসব প্রশ্ন করেন।
ছেলের গুরুতর আহত হওয়ার কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে দেখতে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান ইদ্রিস হাওলাদার।
সেখানে সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরলে আপ্লুত কণ্ঠে এসব প্রশ্ন করেন তিনি।
এর পাশাপাশি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি। ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এর ন্যায়বিচার চাই। যাতে করে বাংলার মাটিতে আর এ রকম কোনো ঘটনা না ঘটে।
নুরের বাবা তিনি বলেন, আমার ছেলে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই অধিকারেই ভোটে সে ভিপি হয়েছে। তবু তার ওপর কেন বাবরার হামলা হয়? তাকে নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয় কেন? এই তো পাঁচ-ছয় দিন আগেও তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আঙুল ভেঙে দিয়েছে ওরা। এরই মধ্যে তার পর তিনবার হামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ডাকসু ভিপি। আমি বিনয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি– তিনি যেন এর সঠিক বিচার করেন। ভিপি নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা চেয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন ইদ্রিস হাওলাদার।
উল্লেখ্য, রবিবার বেলা ১টার দিকে ডাকসু ভবনে গিয়ে ভিপির কক্ষ এবং ডাকসু ভবনে তাণ্ডব চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের লোকজন। এ সময় নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ডাকসু ভিপি। তাণ্ডবের ঘটনাটির কয়েকটি ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
যেখানে দেখা গেছে, হামলা-ভাঙচুরে ভিপি নুরসহ আটজন আহত হয়েছেন। হামলার পর আহত ডাকসু ভিপি নুরুল হক অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেনসহ অন্যদের সাহায্য চেয়ে আকুতি জানাতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। হামলায় অন্তত ৩২ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.