জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে মূল অনুষ্ঠানের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি তোলা হবে।
গতকাল রবিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জাতিসংঘ পানি সম্মেলন-২০২৩’ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে অনেক বিষয় স্থান পাবে। তবে আলোচনায় অবশ্যই তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি তোলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি আছে, সেটিও বৈঠকে তোলা হবে।’ এসব বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন ও সংশ্লিষ্টরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন।
গত মার্চে তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন করে খাল খনন প্রকল্প গ্রহণের কথা জানায়। তখন কূটনৈতিক পত্রে এ বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছে জানতে চায় ঢাকা। ভারত কি এ বিষয়ে কোনো জবাব দিয়েছে– প্রশ্নকরা হলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ভারত এখনও কিছু জানায়নি।’
আগামীতে পানি নিয়ে সমস্যা তৈরির আশঙ্কা প্রকাশ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমাদের একটা ভাব আছে, আমাদের অনেক পানি আছে। এটি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ৫ বা ১০ বছর পর হয়তো আমাদের পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হতে পারে। তাই এটি নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। যে পানি আছে, সেটা কীভাবে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়– তা চিন্তা করতে হবে।’
তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু ছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ও যোগাযোগ নিয়ে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সম্পর্কিত তহবিলের ব্যবহার নিয়েও বৈঠকে কথা হয়।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি২০-এর শীর্ষ সম্মেলন হবে। ভারতের আমন্ত্রণে ওই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে।
এমপিদেরকে এলাকার কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।