জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ফজলু মন্ডল ওরফে ফজিলা নামের এক হিজড়ার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনাসহ ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বাদী ও আসামিদের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার দুপুরে ফজিলার নেতৃত্বে বেশ কিছু তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন পার্বতীপুর শহিদ মিনার সড়কে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করে। তারা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। সেই সাথে আসামিদেরকে রক্ষায় মামলাটি দুর্বল করতে চিকিৎসক ও তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণের রহস্যজনক ভূমিকারও নিন্দা জানানো হয়েছে মানববন্ধনে।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফজিলার সাথে নেহার বেগম(৩৫), সাবানা(৩২), মফিজন(৫৫) এর মারামারির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ফজিলা গুরুতর আহত হলে তাকে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে ফজিলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর পার্বতীপুর মডেল থানায় অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় কেতাব উদ্দিন(৪৭), মুসা সরদার(৫৫)সহ ৯ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এদিকে মামলাটিকে মিথ্যা ও সাজানো মামলা আখ্যায়িত করে মামলার সকল আসামিদের পক্ষে এলাকার বেশ কিছু মানুষ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট দাবিও জানায় তারা।
এরই মধ্যে গত কয়েকদিন পূর্বে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশের নিকট মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। চিকিৎকগণ তাতে এসিড নিক্ষেপের কোনও কথা উল্লেখ করেননি।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, এসিড নিক্ষেপের মামলার বিষয়টি ছিল স্পর্শকাতর। মেডিকেল ছাড়পত্রে অ্যাসিড নিক্ষেপের আলামত উল্লেখ থাকায় প্রাথমিক অবস্থায় মামলাটি নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তদন্তকালীন সময়ে ঘটনাস্থলে থাকা কোনও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষি পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাদের চিকিৎসা প্রতিবেদনে অ্যাসিডের কোনও আলামত পায়নি বলে উল্লেখ করেছেন। তাই মামলার বাদির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় ফজিলার ভাষ্যমতেই অ্যাসিড নিক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে পরীক্ষা নিরীক্ষায় এসিড নিক্ষেপের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
এদিকে মামলার বাদী ফজিলা জানান, চিকিৎসকগণ আমার শরীরে এসিড নিক্ষেপের আলামত ছিল তা নিশ্চিত হয়েই আমাকে ভর্তি করান এবং পরবর্তীতে এসিড নিক্ষেপ উল্লেখ করেই আমাকে ছাড়পত্র দেয়। আমি ওই ছাড়পত্রের আলোকেই মামলা করি। পুলিশ কর্তৃক সাক্ষি না পাওয়ার বিষয়টি আদৌ সত্য নয় বলে সে উল্লেখ করেন।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel