জুমবাংলা ডেস্ক : অন্যান্য শিশুদের মতো নয়ন মিয়াও হাঁটাচলা করতো, খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতো, এমনকি সাইকেল চালিয়ে স্কুলেও যেত। কিন্তু ২০১৫ সালে হঠাৎ করেই তার হাতে পায়ের শক্তি কমে যায়। হাত পা চিকন হয়ে যায় এবং হাঁটা চলার শক্তি হারিয়ে ফেলে নয়ন।
পরে এক হৃদয়বান ব্যক্তি তাকে একটি হুইল চেয়ার দেন। বন্ধুরাই সেই চেয়ারে বসিয়ে তাকে প্রতিদিন স্কুল নিয়ে যায় এবং ক্লাস শেষে বাড়িতে রেখে আসে। হুইল চেয়ারে খাওয়া দাওয়া, হুইল চেয়ারে পড়া লেখা, এভাবেই চলছে নয়নের জীবন।
নয়ন তার এই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তির স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে হুইল চেয়ারে বসেই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নাজিরদহ একতা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. লোকমান হোসেনের ছেলে নয়ন মিয়া। সে একতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে।
নয়ন মিয়া জানায়, সে জন্মের পর থেকে সুস্থ ও সুন্দর দেহের অধিকারী ছিল। পরে হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং শারীরিক শক্তি হারিয়ে ফেলে। কিন্তু লেখাপড়ার মনোবল হারিয়ে যায়নি। চালিয়ে যাচ্ছেন তার পড়ালেখা।
নাজিরদহ একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রমজান আলী বলেন, নয়ন বন্ধুদের সহযোগিতায় নিয়মিত স্কুল আসতো। শিক্ষকরা আন্তরিকতার সঙ্গে তাকে পাঠদানসহ খোঁজ খবর রাখতো। সে হারাগাছ দরদী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
দরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. মাহফুজার রহমান বলেন, সে হুইল চেয়ারে বসে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দিচ্ছে। কক্ষ পরিদর্শক সব সময় পাশে থেকে তার খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।