জুমবাংলা ডেস্ক: তীব্র সংকটে দেশে মার্কিন ডলারের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে কমছে টাকার মান। খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। এমন অবস্থায় মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ও হুন্ডি প্রতিরোধে দেশের সব ব্যাংকের শাখাগুলোতে ডলার লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে গ্রাহকরা ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী ডলার কেনাবেচা করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, খোলাবাজারে অস্বাভাবিক দামের কারণে ডলার নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযানের পরও খোলাবাজারের অস্থিরতা কমেনি। এ কারণে বিদেশগামীদের ডলার জোগাড় করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় সংকট কাটাতে এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত। আগামী রোববার বিস্তারিত জানানো যাবে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান নিয়মে শুধুমাত্র বৈদেশিক লেনদেনে নিয়োজিত ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখাগুলো থেকে নগদ ডলার কেনাবেচনার অনুমতি রয়েছে। ডলার সংকট কাটাতে এ সেবার পরিধি বাড়াতে চাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই কোন এলাকার কোন শাখায় এ ধরনের সেবা চালু করা যায় তার একটি তালিকা ব্যাংকগুলোর কাছে চাওয়া হবে। তালিকা পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিবেচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আশা করছি খুব শিগগিরই সারাদেশে ব্যাংকের শাখায় এ সেবা চালু করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ডলার বেচাকেনার জন্য শুধুমাত্র ২০০ অনুমোদিত ডিলার বা এডি শাখা ও ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের অনুমতি রয়েছে। ফলে নগদ ডলার কেনাবেচার জন্য মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয় প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি পর্যটকসহ সাধারণ গ্রাহকদের।
এছাড়া ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে এনডোর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক হলেও খোলা বাজারে সেই বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো নগদ ডলারের বাজারে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।