জুমবাংলা ডেস্ক: জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি মারা যান।
হুমায়ূন নেই কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন লাখো পাঠকের হৃদয়ে। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রিয় লেখকের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে গেছেন। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নুহাশ পল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, আশপাশের কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরআন তেলাওয়াত করছে। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেবে। কর্মসূচিতে হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া কথাসাহিত্যিকের পরিবারের লোকজন, ভক্ত, বন্ধুরা কবর জিয়ারত ও মিলাদে যোগ দেবেন। দুপুরে মিলাদ মাহফিল শেষে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাবার বিতরণ করা হবে।
হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। উপন্যাস, নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি রেখে গেছেন নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর। উপন্যাসে ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।
হুমায়ূন আহমেদের শরীরে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মরণব্যাধি ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যান। সেখানে ২০১২ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখ তিনি চলে যান লাইফ সাপোর্টে। সে অবস্থাতেই ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিউ ইয়র্ক থেকে ২০১২ সালের ২৩ জুন দেশে ফিরিয়ে আনা হয় মরদেহ। ২৪ জুন তাকে সমাহিত করা হয় তারই গড়ে তোলা নন্দনকানন নুহাশ পল্লীর লিচুতলায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।