বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কুপারটিনোর স্টিভ জব থিয়েটারে ১০ সেপ্টেম্বর আইফোন ১১, ১১ প্রো ও ১১ প্রো ম্যাক্স উন্মোচন করেছে অ্যাপল। নতুনত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি এবার আইফোনের ক্যামেরাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। কিন্তু নতুনত্ব যাই হোক, গ্রাহকরা ডিজাইন দেখে বিরক্ত! বিতর্কও উঠেছে ডিভাইসটি নিয়ে। অনেকেই বলছেন, সদ্য লঞ্চ হওয়া আইফোনের ডিজাইন হুয়াওয়ে মেট ২০ এর মতো! খবর সিজিটিএন।
দু’টি স্মার্টফোনের পেছনেই রয়েছে তিনটি ক্যামেরা ও একটি ফ্ল্যাশ লাইট। স্কয়ার শেইপের ক্যামেরা বাম্প রয়েছে দুটোতেই। এছাড়া স্যামস্যাং, শাওমি ও অন্যান্য ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের আগের গ্যাজেটগুলোতে এই প্রযুক্তি অবলম্বন করেছিল। যেগুলোর দাম ৪০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অথচ আইফোন ১১–এর দাম শুরু ৬৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। ১১ প্রোর দাম ৯৯৯ মার্কিন ডলার। আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স পাওয়া যাবে ১ হাজার ৯৯ ডলারে। অবশ্য লঞ্চ ইভেন্টের সময় অ্যাপল সিইও টিম কুক জানিয়েছেন, এটি কেবল অ্যাপল ব্যবহারকারীদের জন্যই নতুন।
আইফোন ১১ প্রো এবং আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স-এর পেছনের তিনটি ক্যামেরা সেন্সরের মধ্যে একটি টেলিফটো, একটি ওয়াইড লেন্স এবং অন্যটি আলট্রা ওয়াইড লেন্স। ডিভাইসটি দিয়ে ধারণ করা বেশ কিছু দারুণ ছবি এবং ভিডিও ডেমো দেখানো হয়েছে অনুষ্ঠানে। অ্যাপলের দাবি স্মার্টফোনে সর্বোচ্চ মানের ভিডিও পাওয়া যাবে নতুন আইফোন ১১ প্রো ডিভাইসে।
আইফোনের নতুন সংস্করণের ক্যামেরা ‘দারুণ’ হলেও ডিজাইনের কারণে অনেকেরই মনঃক্ষুণ্ণ। কারণ একই ধরণের ডিজাইন বছর খানেক আগেই ব্যবহার করেছে হুয়াওয়ে। অবশ্য অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক দাবি করেছেন, এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত আইফোন হিসেবে বাজারে ছাড়া হচ্ছে আইফোন ১১।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।