বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর ২০২২ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে ২০টি স্টার্টআপ। ইনকিউবেটর বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী ৬৮টি স্টার্টআপ থেকে নির্বাচিত ২০টি স্টার্টআপকে বাছাই করেছে দুটি স্বতন্ত্র জুরি প্যানেল এবং এই প্রোগ্রামের কৌশলগত সহযোগী–স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড আন্ট্রাপ্রেনারশীপ একাডেমি (আইডিয়া)।
হুয়াওয়ের আইসিটি ইনকিউবেটর প্রোগ্রামের বুটক্যাম্প থেকে আইডিয়া স্টেজ ও আর্লি স্টেজ, এই দুইটি গ্রুপে বিজয়ীদের ভাগ করা হয়। প্রতি গ্রুপ থেকে ১০ জন করে ফাইনালিস্ট বাছাই করা হয়। আইডিয়া স্টেজের ফাইনালিস্ট স্টার্টআপগুলো হচ্ছে- অর্গাভেট মেডিসিন, ওয়েস্টেক, ইনসিউরকাউ, সিনারজি, বণিক, দুর্জয় ডিএসএস, ইউ-টার্ন, কৃষিয়ান লিমিটেড, ফিটনেশন এবং রিল্যাক্সি। পাশাপাশি, আর্লি স্টেজের ফাইনালিস্ট স্টার্টআপগুলো হচ্ছে: পালকি, বিপ্রেজেন্ট আইটি, আরবান গ্যাজ লিমিটেড, উইগ্রো টেকনোলোজিস লিমিটেড, এসক্রে, ট্রাবিল, জাহাজি লিমিটেড, পুঁজিঘর, সায়েনটিকো লিমিটেড এবং ইনোভেক্স আইডিয়া সল্যুশন।
এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বলেন,”হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে এবং বেশ সফলতার সাথে এটাএগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের নবীন স্টার্টআপগুলোর জন্য দারুণ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এই ইনকিউবেটর। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্টার্টআপগুলোকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা এবং বিনিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি; যেন তারা সমাজে অবদান রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে আসতে পারে। হুয়াওয়ের আইসিটি ইনকিউবেটর প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে তরুণদের ব্রিলিয়্যান্ট আইডিয়াগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, “১৮০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে আইসিটি ইনকিউবেটরের যাত্রা শুরু হয়। সর্বশেষ রাউন্ডে আমরা আলাদাভাবে ৬৮টি আইডিয়া নিয়ে কাজ করেছি। আমি আনন্দিত যে, স্টার্টআপগুলো উদ্ভাবনী সব ধারণা নিয়ে কাজ করছে। এই বুটক্যাম্পে প্রশিক্ষকদের পরামর্শ প্রতিযোগী স্টার্টআপগুলোর পরিকল্পনাকে ঢেলে সাজাতে সাহায্য করছে। এখন আমাদের সামনে আছে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ২০টি স্টার্টআপ। আমি বিশ্বাস করি, স্টার্টআপগুলোর বিকাশে অবদান রাখার জন্য তাঁরা সবসময় হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর প্রোগ্রামকে মনে রাখবে।”
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর কার্ল ইউ ইং বলেন, “ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং স্টার্টআপগুলোর বিকাশে সহায়তা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হুয়াওয়ে গত ২৩ বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে হুয়াওয়ে এ দেশে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময়ের পরীক্ষিত সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চায় হুয়াওয়ে। আমার বিশ্বাস, হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর সম্ভাবনাময় এই দেশের আইসিটি খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”এ আয়োজনের পরবর্তী পর্যায়ে, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি স্টার্টআপগুলোর পিচ-ডেক ও উপস্থাপনা যাচাই করে দেখবে স্বতন্ত্র জুরি প্যানেল।
এরপর অক্টোবর মাসের শেষ নাগাদ গালা ইভেন্টের মাধ্যমে হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আইসিটি ইনিকিউবেটর প্রতিযোগিতার আইডিয়া ও আর্লি – এ দু’ স্টেজের চ্যাম্পিয়নদের প্রাইজ মানি হিসেবে দেয়া হবে পাঁচ লক্ষ টাকা, এক লক্ষ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট। এছাড়াও, বিজয়ী স্টার্টআপগুলোর প্রধান নির্বাহীরা বিদেশের সফল স্টার্টআপগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাবেন। অপরদিকে, প্রতিযোগিতার ১ম ও ২য় রানার-আপ স্টার্টআপ পাবে যথাক্রমে তিন লক্ষ ও এক লক্ষ টাকার প্রাইজ মানি। এছাড়াও, স্টার্টআপগুলোর প্রধান নির্বাহীরা দেশের বাইরে সফল স্টার্টআপের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করতে পারবেন এবং ৮০ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।