বিনোদন ডেস্ক : এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ সিনেমা দিয়ে প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা নাঈম ও শাবনাজ। পরবর্তী সময় একের পর এক ছবি দিয়ে ভক্তদের মন জয় করেছেন তারা। এক যুগের বেশি সময় পর্দায় তেমন সরব না থাকলেও এখনো ভক্তদের হৃদয়েই রয়ে গেছেন এই জুটি। তাদের নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ এখনো আকাশচুম্বী, সেটাই যেন নতুন করে মনে করিয়ে দিল হেনা চরিত্র। সেই চরিত্রের সূত্রে আবার ভাইরাল হয়েছেন নাঈম-শাবনাজ জুটি ও বাপ্পারাজ।
একটি সংলাপ কতটা আবেগী হতে পারে, বিষাদে ভরিয়ে দিতে পারে দর্শক-মন, তার আরেকটি উদাহরণ নতুন করে উঠে এসেছে নেট দুনিয়ায়। ‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত সংলাপ। কিছুদিন আগেও হঠাৎই একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার বকুল চরিত্রের অভিনেতা বাপ্পারাজ হেনার খোঁজে টাঙ্গাইলে। সিনেমার মতোই দৌড়ে এসে বাপ্পারাজ নাঈমের সামনে দাঁড়ান, এই অভিনেতার মুখে শোনা যায়, ‘নাঈম ভাই, হেনা কোথায়?’
নাঈম বলেন, ‘হেনার সঙ্গে অনেক আগেই আমার বিয়ে হয়ে গেছে।’ ‘না’ বলে বাপ্পারাজকে জড়িয়ে ধরেন সান্ত্বনা দেন নাঈম। পরে দেখা যায়, গান গাইতে গাইতে হেনা চরিত্রের শাবনাজ হাজির। মজা করে মুঠোফোনের ক্যামেরার ধারণ করা এই ভিডিও আবার ভাইরাল হয়।
এসব মজার ঘটনা নিয়েই মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) টেলিপ্যাব (টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) আয়োজিত পিকনিক ও আনন্দ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে কথা বলেন নাঈম।
এই অভিনেতা বলেন, ‘বাপ্পা, ওমর সানীসহ আমাদের সেই সময়ের সবার সঙ্গে নিয়মিতই দেখা হয়, আড্ডা হয়। এবার যখন বাপ্পাসহ আরও অনেকে টাঙ্গাইলে আমাদের গ্রামের বাড়িতে আসেন, তখন যথারীতি আমাদের গ্রামের বাড়ির বাগানে চা খাচ্ছিলাম, মজা করছিলাম। ওমর সানী পেছন থেকে ভিডিও করছিল। সব সময়ই নানা মজার ঘটনা ঘটে। আড্ডার মাঝে আমার মেয়ে নামিরা জানায়, বাপ্পা আর আমাকে একটা অনুরোধ রাখতে হবে। মেয়ের আবদার তো রাখতেই হবে। বাপ্পা তখন জানতে চায়, ‘কী মা বলো?’
নাঈম জানান, বাপ্পা তখন জানতেন না কী হতে যাচ্ছে। পরে নামিরার কাছে সব শুনে, সবার তো চোখ কপালে। হেনার যে অংশ ভাইরাল হয়েছে, সেই অংশ অন্যভাবে অভিনয় করে দেখাতে হবে। এখানে এবার নাঈমকেও থাকতে হবে। এই ভাইরালের যুগে এসব করলে মানুষ কি বলবে। সেই ভাবনা সবার মাথায় ছিল। তার ভাষ্যে, ‘মেয়ের কথা রাখতে গিয়েই, ভিডিওতে অংশ নিলাম। ওরাই সব ঠিক করল। আমাকে গাছের সঙ্গে হেলিয়ে তারা দাঁড় করিয়ে দিল। পরে আমার কাছে দৌড়ে বাপ্পা আসে। ডায়ালগ দিতে হয়। সেটা আপনারা ভিডিওতে দেখেছেন। মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে বাপ্পাকে জড়িয়ে ধরি, শাবনাজ এসে নাচে। এটাও পরে দেখি ভাইরাল। আমরা ইচ্ছা করে ভাইরাল করব এমন চিন্তা ছিল না। অল্প সময়েই মধ্যেই ভিডিও করা। তবে বুঝতে পেরেছি দর্শকেরা এখনো আমাদের ভালোবাসেন। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা।’
নাঈদের কথায়, ‘একটা সিনেমা তো একজন বানায় না। নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটা ভালো সিনেমা নির্মাণ হয়। আজ থেকে ২৮ বছর আগের সিনেমার একটি ডায়লগ যে এভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে সেটা আমাদের কারও জানা ছিল না। এটা শুধু বাংলা দেশে না, অভিনেতা গাব্বার সিং, শাহরুখ খানসহ অনেক অভিনেতা ডায়লগ কমবেশি সবাই আমরা জানি। একটি ডায়ালগ দিয়ে পুরনো একটি ছবি নতুন প্রজন্মের কাছ পরিচিত অর্জন করেছে। ভালোলাগার বিষয় হল- ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ‘হেনা কোথায়’ নিয়ে বাপ্পারাজ ও শাবনাজের সিনেমার যেভাবে প্রচার ঘটেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করে তারাই প্রকৃতশিল্পী।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।