জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বাংলাদেশে তিনদিন ধরে কতিপয় গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে সরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জানমালের ক্ষতি করছে। আর তা এখনই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি বাংলার।
অন্যথায়, সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রবিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে রবিবার টানা তৃতীয় দিনের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সংঘর্ষ হয়েছে।
সহিংস বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত: বারো জনের মৃত্যু হলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গত তিনদিন ধরে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি, গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল আশুগঞ্জ উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে চলেছে। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারি ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেল স্টেশন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বাড়িঘর, প্রেসক্লাবসহ মানবসম্পদের তারা ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি, সকল প্রকার উচ্ছৃঙ্খলতা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণের জানমাল সম্পদ রক্ষার্থে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।
নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে ধারাবাহিক বিক্ষোভের পর আজ রবিবার বাংলাদেশে হরতাল পালন করেছে হেফাজতে ইসলাম।
হরতালে নানা জায়গায় অবরোধ ও সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এতিম ছোট ছোট শিশুদের রাস্তায় এনে বসিয়ে দিচ্ছে, এবং তারাই ভিকটিম হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে, ভুয়া নিউজ ছড়িয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা মনে করি এইগুলো নাশকতা, এইগুলা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি এগুলি থেকে বিরত থাকার জন্য, নতুবা আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।
যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা যাতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য সরকার সব ব্যবস্থা নেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। এখন তাদের প্রতিহত করা হবে— আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।