জুমবাংলা ডেস্ক : ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবনের পরতে পরতে প্রতিটি বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান রয়েছে। আমরা অনেক সময় হোটেল, রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। খাবার খেয়ে হোটেল কর্মচারীকে বকশিশ দেয়া এখন সাধারণ রীতি হয়ে গেছে।
অনেকে জানতে চান, হোটেল, রেস্টুরেন্টে আপ্যায়নকারী ওয়েটারকে পরিবেশনায় সন্তুষ্ট হয়ে বকশিশ দেয়া কি বৈধ হবে? নাকি ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কাউকে খুশি হয়ে বকশিশ দেয়া বা উপহার দেয়া সওয়াবের কাজ। তাই আপ্যায়নকারী কিংবা খাবার পরিবেশনকারীর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বকশিশ দেয়া এটা ঘুষ বা অনৈতিক কাজ হবে না বরং তা হবে সওয়াবের কাজ।
খাবার খাওয়ার পর যদি যথারীতি ওয়েটারকে খুশি হয়ে স্বেচ্ছায় কিছু টাকা বকশিশ দেন তাহলে তাতে দোষের কিছু নেই। বরং আপনি যদি একজন গরিব মানুষকে খুশি করা বা আর্থিক সহযোগিতা করার নিয়তে তা দেন তাহলে এতে সওয়াবও হবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো- সব চেয়ে উত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন,
أفضلُ الأعمالِ أن تُدْخِلَ على أخيكَ المؤمنِ سُروراً أو تقضيَ عنهُ دَيناً ، أو تُطْعِمَهُ خُبزاً অর্থ: সবচেয়ে উত্তম আমল হলো- তোমার কোনো ঈমানদার ভাইয়ের অন্তরে আনন্দ সঞ্চার করা বা তার ঋণ পরিশোধ করা বা তাকে একটি রুটি খাওয়ানো। (জামে)
বকশিশ দেয়া জায়েজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো-
হোটেল কর্মচারী অনৈতিক কাজে জড়াতে পারবে না। যেমন, যদি বকশিশ পাওয়ার আশায় নিয়মের বাইরে কাস্টমারকে সার্ভিস দেয় বা অতিরিক্ত খাবার পরিবেশন করা। অতিরিক্ত খাবার পরিবেশন করে মালিক পক্ষের ক্ষতি করা। অনুমোদন বহির্ভূত খাবার দেয়া কিংবা খাবারের বিল কম রাখাসহ কাস্টমারকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া বৈধ নয়।
হোটেল কর্মচারী অবৈধ এসব উপায় অবলম্বন করে বকশিশ নিলে তা অনিয়ম ও ঘুষের আওতায় পড়বে। আর এটি কাস্টমার ও পরিবেশনকারী কর্মচারী উভয়ের জন্য হারাম তথা কবিরা গুনাহ। কারণ এটি অন্যের হক বা অধিকার নষ্ট করার অপরাধ। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لعَن اللهُ الرَّاشيَ والمُرتشيَ অর্থ: ঘুসদাতা ও ঘুস গ্রহীতা উভয়ের উপর আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। (ইবনে হিব্বান)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।