বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপে একটি মেসেজ। আদতে দেখতে বিয়ের নিমন্ত্রণের ই-কার্ড। কিন্তু তাঁর ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে ফাঁদ। যেখানে একবার পা দিলেই গচ্চা যেতে পারে আপনার জমানো টাকা। নিমেষে সাফ হতে পারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। বিয়ের মরশুমে উপদ্রব বেড়েছে এমনই সাইবার অপরাধের।
সারা ভারতের নানা রাজ্যেই এই প্রতারণার ছক দেখা গিয়েছে। রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশেও এই প্রতারণার অভিযোগ উঠে এসেছে। ইকনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী,সম্প্রতি রাজস্থানে এক ব্যক্তি এই ফাঁদে পড়ে খুইয়েছেন সাড়ে চার লক্ষ টাকা। গোটা ভারতেই দিন দিন সাইবার অপরাধের ঘটনা বাড়ছে। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল অ্যারেস্ট-সহ আরও নানা ধরনের সাইবার অপরাধে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভারতীয়রা ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি খুইয়ে ফেলেছেন।
ঠিক কী ভাবে হচ্ছে এই প্রতারণা?
কোনও ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপে প্রথমে মেসেজ আসছে। সেখানে ক্লিক করলেই কোনও apk ফাইল অটো ডাউনলোড হয়ে যাচ্ছে ফোনে, তার মাধ্যমেই ফোনের যাবতীয় তথ্য চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে। ওই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই হ্যাক করা যাচ্ছে মোবাইল। মোবাইল ফোনের যে কোনও অ্যাপ্লিকেশন .apk ফরম্যাটে হয়। গুগল প্লে স্টোর থেকে এগুলো ডাউনলোড করা যায়। অ্যাপলের iOS ডিভাইসের ক্ষেত্রে অ্যাপল স্টোর থেকে ডাউনলোড করা হয় এই ফাইল। এর বাইরে ফিশিং বা ম্যালওয়ার .apk ফাইল অন্যত্র পাওয়া যায়। এমন ধরনের ফাইলের লিঙ্ক থাকে ওই মেসেজগুলিতে। একবার ফোনের তথ্য বেরিয়ে গেলে সহজেই প্রতারকরা সাফ করে দিতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। কারণ, এখন ব্যবহারকারীদের ফোনে অনলাইন ব্যাংকের পরিষেবা থাকে।
ইকনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের প্রতারণা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায়। কখনও ক্রিকেট ম্যাচের টিকিট, কখনও লটারি টিকিট, কখনও ফোন বিল, কখনও আবার গিফট কার্ডের ছদ্মবেশে পাতা থাকে এমন ফাঁদ। সবক্ষেত্রেই ম্যালওয়ার ডাউনলোড করিয়ে ফোনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্য থাকে প্রতারকের।