Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home হ্যানয়ের ঐতিহ্য ও ইতিহাস: ট্রাভেলের জন্য চমৎকার জায়গা
    ট্র্যাভেল মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

    হ্যানয়ের ঐতিহ্য ও ইতিহাস: ট্রাভেলের জন্য চমৎকার জায়গা

    December 9, 20245 Mins Read

    ঢাকা শহরের হৃৎপিণ্ড যেমন পুরান ঢাকা, হ্যানয়ের জন্য সেটি ওল্ড কোয়ার্টার। বলা হয়ে থাকে, হাজার বছর আগে লি রাজবংশ যখন ভিয়েতনামের রাজধানী তনকিন থেকে সরিয়ে হ্যানয় নিয়ে আসে, তখন হ্যানয়ের একদম কেন্দ্রে রেড রিভার এবং ইম্পেরিয়াল সিটাডেল অব থাং লং (রাজকার্যে ব্যবহার্য স্থাপনাগুলোর সমষ্টি) মাঝে ওল্ড কোয়ার্টারের পত্তন ঘটে। এখানে ছত্রিশটি রাস্তা আছে বিধায় এর আরেক নাম ‘থার্টি সিক্স স্ট্রিট হ্যানয়’।

    Advertisement

    হ্যানয়

    প্রতিটি স্ট্রিটে নির্দিষ্ট পেশার লোকজন ব্যবসা করতেন। যে রাস্তায় কামারের দোকান আছে, সেই রাস্তায় কুমারের দোকান থাকত না। আবার যেই রাস্তায় বাঁশের আসবাব বিক্রি হতো, সেখানে সোনা কিংবা রুপার অলংকার বিক্রি নিষেধ ছিল। কালের পরিক্রমায় স্ট্রিটগুলো থেকে গেছে, কিন্তু হারিয়ে গেছে নির্দিষ্ট পেশার ব্যক্তিদের হাঁকডাক। বর্তমানে এটি ভিয়েতনামের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্র।

    এখানকার রাস্তাগুলো বেশ সরু। দুপাশে গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলোতে দেদার স্মারক বিক্রি চলছে। রাস্তার ওপর স্ট্রিট ফুডের সমারোহ। স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত সস্তা বিয়ার গলায় ঢেলে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে লোকজন। একসময় ফরাসি কলোনি ছিল বলেই হয়তো ফরাসি স্থাপত্যরীতির প্রভাব স্পষ্ট চারদিকের ভবনগুলোতে।

    হ্যানয় সবুজে ছাওয়া এক শহর। যেদিকেই তাকাই, উঁচু উঁচু গাছের সারি চোখে পড়ে। শহরের জলাধারের সংখ্যাও প্রচুর। এমনই এক বিখ্যাত জলাধার হাওন কিয়েম হ্রদ। ওল্ড কোয়ার্টারের লাগোয়া এবং শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার জংশনে অবস্থিত হওয়ায় দর্শনার্থীদের পদভারে সারা দিনই মুখর থাকে হ্রদের চারপাশ। অন্যান্য জলাধারের তুলনায় হাওন কিয়েম লেকের পার্থক্য এর ইতিহাসে।

    এই লেকের অভ্যন্তরে আছে ক্ষুদ্র দুটো দ্বীপ যেগুলোর শোভাবর্ধন করছে দুটো স্থাপনা। দুটোর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ইতিহাস। প্রথমটি টার্টল টাওয়ার। কিংবদন্তি অনুযায়ী লি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা লি থাই তো চীনের সঙ্গে ১০ বছর যুদ্ধ করে ভিয়েতনামকে স্বাধীন করেছিলেন। প্রথম দিকে তিনি গেরিলাযুদ্ধ চালাতেন। একসময় তিনি এক মাঝির কাছ থেকে একটা তলোয়ার হস্তগত করেন। সেই তলোয়ারের এতই ক্ষমতা ছিল যে একসঙ্গে ১০ হাজার যোদ্ধাকে কুপোকাত করা যেত।

    তলোয়ার হাতে পাওয়ার পর তিনি গেরিলাযুদ্ধ ছেড়ে সরাসরি মাঠের যুদ্ধ শুরু করেন এবং চীনের মিং রাজবংশকে ভিয়েতনাম থেকে বিতাড়িত করেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর একদিন তিনি হাওন কিয়েম হ্রদটিতে মাছ ধরতে আসেন। হঠাৎ করেই হ্রদে স্বর্ণ খোলসমণ্ডিত এক বিশালাকৃতির কচ্ছপ ভেসে ওঠে। মানুষের কণ্ঠে রাজাকে সে জানায় তলোয়ারটি বাস্তবিক অর্থে কচ্ছপ দেবতার সম্পত্তি।

    মাঝির মাধ্যমে রাজাকে সেটি পাঠানো হয়েছিল যুদ্ধজয়ের সাহায্যার্থে। সে লক্ষ্য যেহেতু সম্পন্ন হয়েছে, তাই তলোয়ারটি ফেরত দিতে হবে। রাজা খুশিমনে আদেশ পালন করেন এবং এই ঘটনার স্মরণে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন। শুধু তা–ই নয়, হ্রদের নাম এমারেল্ড হ্রদ থেকে পরিবর্তন করে হাওন কিয়েম (ফেরত দেওয়া তলোয়ারের) হ্রদ রাখেন। চতুর্দশ শতকে নির্মিত স্থাপনাটি চার শ বছর টিকে ছিল।

    ১৮৮৬ সালে সেই ঘটনার স্মরণে জায়গাটিতে একটি ত্রিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হয়, যেটি এখনো টিকে আছে। এসব কিংবদন্তির কাহিনি শুনতে বেশ লাগে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, তৎকালীন শাসকেরা নিজেদের শাসনের বৈধতা দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের কাছে নিজেদের রাজকীয় এবং ঐশ্বরিক ভাবমূর্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গল্পের জন্ম দিতেন আর লোক নিয়োগের মাধ্যমে সেগুলো রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েও দিতেন।

    হ্রদের দ্বিতীয় স্থাপনাটির সঙ্গে অবশ্য কোনো জাদুর গল্পের সংযোগ নেই। এটি একটি মন্দির। এনগক সন নামের মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভিয়েতনামের জাতীয় বীর ট্রান হাং দাওয়ের স্মরণে। এই ভদ্রলোক তিন তিনবার মোঙ্গল আক্রমণ থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করেছিলেন। টার্টল টাওয়ারে যাওয়ার কোনো রাস্তা না থাকলেও মন্দিরটিতে যাওয়ার জন্য জন্য ছোট্ট একটা সেতু আছে।

    পান্না সবুজ জলের হ্রদটির চারপাশ দিয়ে হাঁটার রাস্তা আছে। স্বাস্থ্যসচেতন আদম সন্তানদের পদভারে সেটি মুখর। বাচ্চাদের খেলার সুবিধার্থে প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেকের এক পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সুযোগে দেখলাম কোনো এক বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং শুরু হয়েছে। সুন্দরী ভিয়েতনামিজ মডেল চুল ঠিক করছেন। পেছনে বিশালাকৃতির আয়না আর মাইক্রোফোন হাতে লোকজন প্রস্তুত। হ্রদের পাশের এক ছোট্ট দোকানে একজন বৃদ্ধ মহিলা স্মারক বিক্রি করছেন।

    আমাদের সঙ্গে কুয়েন নামের একজন ভিয়েতনামিজ আছে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীটি পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট গাইডের কাজ করে। বৃদ্ধ ভদ্রমহিলা যেহেতু ইংরেজি জানেন না, তাই কুয়েনের সাহায্যে কিছু স্মারক সংগ্রহ শেষে অপেক্ষমাণ গাড়িতে উঠতে হলো। ফেরার পথে গাড়িতে বসেই দুটো জায়গার বর্ণনা শুনলাম তাঁর কাছে। জায়গাগুলো ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে গাড়ির জানালা দিয়ে দেখেই শখ মেটাতে হলো। একটা হচ্ছে টেম্পল অব লিটারেচার আর দ্বিতীয়টি হো চি মিনের সমাধি।

    টেম্পল অব লিটারেচারকে বলা হয় ভিয়েতনামের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। হাওন কিয়েম হ্রদের খুব কাছেই এর অবস্থান। এক লাখ ডং ব্যাংক নোটের পেছনে এর ছবি আছে। ১০৭০ সালে রাজা লি থান তোং কর্তৃক নির্মিত মন্দিরটি চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াসের প্রতি উৎসর্গীকৃত। চমৎকার নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরতে পারলে মন্দ হতো না। তবে সত্যিকারের আফসোস লেগেছে হো চি মিনের সমাধি ঘুরতে না পারায়। স্বাধীন ভিয়েতনামের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং ভিয়েতনাম ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান এই ভদ্রলোক আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন কলোনিয়াল শক্তিগুলো থেকে ভিয়েতনামকে স্বাধীন এবং একীভূতকরণে।

    ১৯৬৯ সালে মারা যাওয়ার আগে ওনার সংগ্রামের সফল বাস্তবায়নের একটা ধাপ সম্পন্ন হলেও দুই ভিয়েতনামের একীভূত হওয়া তিনি দেখে যেতে পারেননি। মৃত্যুর সময় তিনি বলে গিয়েছিলেন যেন ওনার লাশটাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তাঁর সেই নির্দেশ মানা হয়নি। বরং তাঁর দেহাস্থিকে সংরক্ষণে রাখার অভিপ্রায়ে ছয় বছর পরই বিশাল এক সমাধি নির্মাণ করা হয়েছে শহরের বাদিন চত্বরে। বিনা পয়সার সেই দেহাস্থি দেখতে পারেন পর্যটকেরা। কমিউনিস্টদের ধর্ম পালনে আপত্তি থাকলেও মাজার পূজা ছাড়তে পারেনি।

     এসব কাহিনি কুয়েনের কাছ থেকেই শোনা। আরও মজার কিছু তথ্য দিল ভিয়েতনাম সম্বন্ধে। এই যেমন তাদের দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষের নামেই নগুয়েন পাওয়া যাবে। এই যেমন ওর নিজের পুরো নাম নগুয়েন কুয়েন। আবার ভিয়েতনামে মানুষ ১০ কোটি, কিন্তু মোটরসাইকেল আছে সাত কোটি।

    এই জন্যই চলার পথে গণপরিবহন কমই চোখে পড়েছে। ট্রাফিক সিগন্যালে দেখা যায় হাজার হাজার বাইক দাঁড়ানো। সেগুলো পার হতে হতেই নতুন সিগন্যাল পড়ে যায়। ফলে বাস কিংবা ব্যক্তিগত গড়িগুলোর অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চায় না। ভিয়েতনামের খাবার বেশ সুস্বাদু, বিশেষ করে সালাদ। 

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও ‘জায়গা‘ ইতিহাস ঐতিহ্য: চমৎকার জন্য ট্রাভেলের ট্র্যাভেল মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার হ্যানয় হ্যানয়ের
    Related Posts
    বিদেশ ভ্রমণের আগে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন

    বিদেশ ভ্রমণের আগে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন

    June 26, 2025
    জামায়াতের রাজনীতি

    ‘দেশকে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করাই জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য’

    June 26, 2025
    অল্প খরচে দেশের বাইরে ভ্রমণ

    অল্প খরচে দেশের বাইরে ভ্রমণ: নতুন গন্তব্যের সন্ধান

    June 25, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Michael Sanzone: Revolutionizing Digital Storytelling

    Michael Sanzone: Revolutionizing Digital Storytelling

    Alex Warren: Revolutionizing Vlogging with Raw Talent and Humor

    Alex Warren: Revolutionizing Vlogging with Raw Talent and Humor

    Kouvr Annon: The Creative Force Behind Social Media Trends

    Kouvr Annon: The Creative Force Behind Social Media Trends

    Thomas Petrou: The Visionary Behind Hype House's Digital Success

    Thomas Petrou: The Visionary Behind Hype House’s Digital Success

    Cameron Dallas: From Social Media Phenom to Cultural Icon

    Cameron Dallas: From Social Media Phenom to Cultural Icon

    Ashika Bhatia: From Television Stardom to Social Media Sensation

    Ashika Bhatia: From Television Stardom to Social Media Sensation

    Gilmher Croes: Comedy King and Social Media Sensation

    Gilmher Croes: Comedy King and Social Media Sensation

    Piper Rockelle: The Social Media Sensation with Unmatched Creativity

    Piper Rockelle: The Social Media Sensation with Unmatched Creativity

    Annie LeBlanc: From YouTube Stardom to Multi-Talented Icon

    Annie LeBlanc: From YouTube Stardom to Multi-Talented Icon

    Asus ROG Flow Fusion বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Asus ROG Flow Fusion বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.