দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টেকনিক্যাল দিক থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। বিদেশের সিনেমার মতো অ্যাকশন তার সিনেমার মাধ্যমেই দর্শক প্রথমবার দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি অনন্ত জলিল।
দীর্ঘ আট বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন এ নায়ক। ঈদের দিন (১০ জুলাই) দেশের ১১৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমাটি। বরাবরের মতো এবারও তার সঙ্গী হয়েছেন বর্ষা।
বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন দ্য ডে’। সিনেমাটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নি করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক।
বাজেটের কারণে বেশ আগে থেকেই আলোচনায় রয়েছে ‘দিন-দ্য ডে’। সিনেমাটি মুক্তির পর কড়া সমালোচনা করে অনন্ত জলিলকে খোঁচা দিলেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নূতন। তবে ফেসবুকে দেওয়া সেই স্ট্যাটাসে তিনি কোথাও অনন্ত জলিলের নাম উল্লেখ করেননি।
নূতন লিখেছেন, ‘বেশি বাজেট হলেই যদি ভালো মানসম্মত, মনে রাখার মতো ফিল্ম হতো, ভালো অভিনেতা টাকা দিয়ে জন্মাতো। তাহলে এই দেশে কখনও ‘মাটির ময়না’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’, ‘হাওর নদী গ্রেনেড’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘আয়নাবাজি’সহ, অসংখ্য ভালো, মনে রাখার মতো, মনে ধারণ করার মতো ছবি জন্মাতো না। রাজ্জাক সাহেবসহ নাটক-সিনেমায় গুণী অভিনেতা জন্মাতো না। বিশ্বজুড়ে থিয়েটার থাকতো না।”
তিনি আরও লেখেন, ‘টাকা দিয়ে ভালো ভিডিওচিত্র বানানো যায়, তবে মনে দাগ কাটার মতো ফিল্ম বানাতে টাকার পাশাপাশি মেধা লাগে। ফিল্মের জন্য ত্যাগ লাগে। টাকা দিয়ে নিজে ছবি করে হিরো হওয়া যায়, অভিনেতা -অভিনেত্রী না। গায়ক হওয়া যায়, প্রকৃত গানের শিল্পী না। টাকায় অনেক কিছু হয়, তবে সব হয় না। মানুষের মনে শিল্পী হিসেবে স্থায়ী জায়গা করার জন্য অভিনয়গুণ ও দক্ষতা লাগে।’
নায়িকার ভাষ্য, ‘১০০/৫০০ কোটি হলেই যদি ছবি হয়ে যেতো, তাহলে বলিউডের, হলিউডের, কোরিয়ান ফিল্ম সব অস্কার পেতো। ঘরে ঘরে স্পিলবার্গ আর সত্যজিৎ রায় থাকতো। পাড়া বা মহল্লায় একজন করে উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন, রাজ্জাক -শাবানা থাকতো।’
নূতনের দাবি, ‘টাকায় শিল্প হয় না। টাকায় আলোচিত বা সমালোচিত সাময়িক বলার মতো ছবি হয়। তবে যুগ যুগ ধরে মনে গেঁথে রাখার মতো চলচ্চিত্র হয় না।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে যারা প্রবাসে যান, তারা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন। বাংলাদেশ, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরান এই চার দেশ মিলিয়ে ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমায় উঠে এসেছে সেই সব লোহমর্ষক প্রেক্ষাপট। ইরানের নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজমের পরিচালনায় এতে আন্তর্জাতিক সংস্থার পুলিশ অফিসারের চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়েছেন অনন্ত জলিল। নানা রকম ভুল মতবাদে আসক্ত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে দমন অভিযানে অংশ নেন তিনি। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই সিনেমাটিতে নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন অনন্ত জলিল। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও ইরানের অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।