জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তরে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে স্ট্রিট ফুড বিক্রি করতে জায়গা দেওয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার এ আয়োজন থাকবে। সন্ধ্যার পর বসবে গানের আসর। স্ট্রিট ফুড বিক্রি করতে ১০০টি গাড়ি নামাবে উত্তর সিটি করপোরেশন। এর মাধ্যমে নিরাপদ খাবার বিক্রি নিশ্চিত করা হবে।
শনিবার (৬ মে) রাতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যালে ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির মেয়র। রাজধানীর বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে ৪ থেকে ৬ মে এ ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে ট্যুরিজম বোর্ড। আজ ছিল ফেস্টিভ্যালের শেষ দিন।
বর্তমান সময়ে ট্যুরিজমের বিকল্প নেই, জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কী নেই? আমাদের বৈচিত্র্যময় খাবার আছে, অনেক ঐতিহাসিক স্থপনা আছে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ সি বিচ আছে। এসব বিশ্বের মানুষের কাছে পজিটিভলি তুলে ধরতে হবে। তাহলে এর মধ্য দিয়ে আমাদের আয় হবে। বিশ্বে আমাদের পরিচিতি বাড়বে।
মেয়র বলেন, আমরা চাই, উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু, সে জায়গা আমাদের নেই। সব মাঠ, খাল দখল করে ফেলেছে দখলবাজরা। আমরা ক্রমান্বয়ে সেসব বেদখল হওয়া মাঠ ও খাল উদ্ধার করছি। দেশের বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যময় বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে রাজধানীবাসীর পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন।
দেশের সব ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত খাবারের আয়োজন নিয়ে শিগগিরই আরেকটি মেলার আয়োজন করা হবে বলে মেয়র জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর পরের বার ৬৪ জেলার ৬৪টি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যময় খাবারের স্টল থাকবে মেলায়। এই মাঠে সেটা করা সম্ভব হবে না। ফুড ফেস্টিভ্যালের জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে অন্তত এ মাঠের চেয়ে তিন গুণ বড় জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
ফুড ফেস্টিভ্যালের সমাপনী দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনসহ বিশিষ্টজনরা।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ছাদের নিচে দেশের অধিকাংশ ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত খাবারের মেলা বসেছে। মেলায় আছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা, বিখ্যাত রাজা চা, কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই, হাজির বিরিয়ানি, বিউটি লাচ্ছি, কুষ্টিয়ার কুলফি, চট্টগ্রামের মেজবানি। এর পাশাপাশি আছে পাঁচ তারকা হোটেলের খাবার নিয়ে হোটেল সোনারগাঁ, হোটেল ওয়েস্টিন ও হোটেল শেরাটনের স্টল। মেলায় অংশ নিয়েছে দেশের বিখ্যাত ৪০টি রেস্টুরেন্ট ও ফুড কোর্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।