কয়েক বছর আগে পশ্চিম কানাডায় একটি খনির কাজ করতে গিয়ে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নতুন আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করেছিল। খনি শ্রমিকদের একটি দল দুর্ঘটনাক্রমে ডাইনোসরের একটি সম্পূর্ণ দেহ আবিষ্কার করেছিলো।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করে যে, নোডোসর বংশের এ ডাইনোসর 18 ফুট লম্বা এবং প্রায় 3,000 পাউন্ড ওজনের ছিল। এটি 2011 সালে কানাডার আলবার্টা থেকে 17 মাইল উত্তরে একটি খনির প্রকল্পে কাজ করা একটি শ্রমিক দল খুঁজে পেয়েছিল।
ডাইনোসরের জীবাশ্মগুলি খুব ভালভাবে সংরক্ষিত ছিলো। এটি একটি খুব আকর্ষণীয় আবিষ্কার মনে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে গবেষকরা ডাইনোসরের জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে।
এ ডায়নোসর বোরিয়ালোপেল্টা প্রজাতির ও নোডোসর বংশের অন্তগর্ত। এর অর্থ দাঁড়ায় “উত্তরের ঢাল।” এটি ক্রিটেসিয়াস যুগে বাস করত। এটি অনেক ডায়নাসরের মধ্যে একজন ছিল যারা ভয়াবহ বন্যার মত প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারণে সমুদ্রে ডুবে মারা গিয়েছিলো।
পুরু বর্মের মত আবরণ ডায়নোসরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রেখেছে। এটিতে প্লেট রয়েছে যা দেখতে টাইলসের মতো এবং একটি ধূসর প্যাটিনা জীবাশ্মযুক্ত চামড়া লক্ষ্য করা গেছে।
শন ফাঙ্ক মিলেনিয়াম মাইনে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সময় তার শ্রমিক দল শক্ত কিছুতে আঘাত করেছিল। এরপর এ আশ্চর্যজনক আবিষ্কার এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। 110 মিলিয়ন বছর আগে বেঁচে ছিলো এ প্রজাতির ডায়নোসররা। বৃহৎ তৃণভোজী প্রাণীটির প্রায় সম্পূর্ণ অংশ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মাইকেল গ্রেশকো বলেছেন যে ডাইনোসরের জীবাশ্মাবশেষ দেখতে বেশ বিস্ময়কর লেগেছে।
ডাইনোসর দেখতে অনেকটা লক্ষ লক্ষ বছর আগের মতোই দেখায় কারণ এটি দ্রুত পানির নিচে চাপা পড়ে যায়। প্যালিওন্টোলজিস্টরা বলেছেন যে এটি খুব বিরল যে টিস্যুটি ভেঙ্গে যায়নি বরং একটি জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে।
পরিবর্তী সময়ে, এটি শিকারীদের দূরে রাখার জন্য ধারালো এবং সূক্ষ্ম বর্ম পরিধান করত। ক্রিটেসিয়াস সময়কালে, 18-ফুট লম্বা ডাইনোসরটির দেহের পুরুত্ব গন্ডারের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।