জুমবাংলা ডেস্ক : এলাকা উপযোগী আমন ধানের জাত নির্বাচনের লক্ষ্যে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার বটিয়াঘাটায় অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক কৃষক মাঠ দিবস। মিজরিও-জার্মানির সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এবং গঙ্গারামপুর কৃষক সংগঠনের আয়োজনে ১১৪ জাতের ধান গবেষণা প্লটে ধানের র্যাংকিং শেষে গঙ্গারামপুর এলাকায় কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারীরা আমন ধানের জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ১১৪ প্রজাতির স্থানীয় প্রজাতির ধানের পিভিএস প্লট পরিদর্শন করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এলাকা উপযোগী ২১টি ধানের জাত নির্বাচন করেন। প্লটের ১১৪ জাতের আমন ধানের মধ্যে নির্বাচিত জাতগুলো হলো মন্তেশ্বর, বেনাঢোল, বাঁশফুল বালাম, কিরণশাইল, মরিচশাইল, মঘাইবালাম, রূপেশ্বর, জটাইবালাম, রানী স্যালোট, বেনাপোল, কলমীলতা, স্বর্ণা, কুমড়াগোড়, যাজিনী মোটা, কইজুড়ি, গোপালভোগ, কাঁচড়া, হাতিবজড়। এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে লোকজ ধান, আলোধান, আরুণি ধান কৃষকরা বেশি পছন্দ করেছেন।
মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তান্নী। সঞ্চালনা করেন লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট সাতক্ষীরার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. সাজ্জাদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার সাবেক উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার, এলজিইডি কনসালট্যান্ট প্রকৌশলী পংকজ কুমার বিশ্বাস, বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুবকর সিদ্দিক, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নবনীতা দত্ত, কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ মণ্ডল এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব বিশ্বাস।
বক্তৃতা করেন লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মণ্ডল, কৃষক প্রতিনিধি নিকুঞ্জ বিহারী সরকার, মো. ফজলুর রহমান লাভলু, আরুণি সরকার, প্রণব গোলদার, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আশীষ মণ্ডল, শেখ খোসরুল আলম, শ্যামল সরকার, মো. শুকুর খন্দকার প্রমুখ। মাঠ দিবসের কর্মসূচিতে বটিয়াঘাটা সদর, গঙ্গারামপুর, সুরখালী ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নের ৩০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বায়ু দূষণ বন্ধে ৫ ইটভাটার ৩ লাখ টাকা জরিমানা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।