জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপানে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জাপান ১৫ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেবে। এ লক্ষ্যে জাপানের সঙ্গে শ্রমবিষয়ক নতুন একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান আহমদ এ কথা বলেন।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য চাই দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী আরো বলেন, উন্নত দেশ জাপানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জনবল সংকটে পড়েছে তাদের অর্থনীতি। তাই জাপান বিশ্বের আট দেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়ে তাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে।
তিনি বলেন, গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেয়ার প্রস্তাব দেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে সম্মতি দেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে টোকিওতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে বাংলাদেশ এখন জাপানে দক্ষ জনবল প্রেরণের জন্য ৯ম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ সহযোগিতামূলক চুক্তির ভিত্তিতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেবে জাপান।
মন্ত্রী বলেন, ‘জিরো কস্ট মাইগ্রেশন’ পদ্ধতিতে জাপান কর্মী নেবে। অর্থাৎ জাপানগামী কর্মীকে কোনো ব্যয় বহন করতে হবে না।
তিনি জাপান গমনেচ্ছু যুব ও যুব মহিলাদের জাপানি ভাষায় দক্ষতাসহ নির্ধারিত ক্যাটাগরির আলোকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান।
যে ১৫ ক্যাটাগরিতে জাপান কর্মী নেবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কেয়ার ওয়ার্কার, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইনফরমেশন, কনস্ট্রাকশন, শিপ মেশিনারি, অটোমোবাইল মেনটেন্যান্স, অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজ, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজম্যান্ট, ইন্ডাস্ট্রি মেশিনারিজ, এগ্রিকালচার, ফিশারিজ, ম্যানুফ্যাকচার অব ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ফুড সার্ভিস ইত্যাদি।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বিদেশ গমনেচ্ছুদের সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে, টাকা ও সম্মান দুটোই পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আগামী চার বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার জনের বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে যে সব নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।