আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালেবানি আগ্রাসনে প্রমাদ গুনছে বিশ্ব। প্রায় গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সে দেশে। এমতাবস্থায় আরও এক নির্দেশ জারি তালেবানদের।
এবারে স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের একটি বিবৃতি জারি করে ১৫ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের এবং ৪৫ বছরের কম বয়সি বিধবাদের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, তালেবানি প্রতিশ্রুতি মত, তারা তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে বিয়ে দেবে এবং পাকিস্তানের উজিরিস্তানে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে তালেবান রাজ কায়েম হওয়ার পরই অশান্ত হয় সেই দেশ। যত সময় যাচ্ছে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে কাবুলের পরিস্থিতি। দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমান বন্দরে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যরা প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার শেষ করার পর তালেবানরা ইরান, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জেলা এবং সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং সামরিক বাহিনী দাঁড়াতেই পারেনি তালেবান গোষ্ঠীর সামনে।
এর আগে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ তখরে মহিলাদের একা বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ করা হয়েছিল এবং পুরুষদের দাড়ি বাড়াতে বলা হয়। তালেবানরা তাদের ইসলামী আইনের সংস্করণ প্রয়োগ মেয়েদের জন্য যৌতুকের নিয়মও নির্ধারণ করেছিল।
২০০১ সালে মার্কিন আক্রমণের পর ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবানরা। আগে তালেবান শাসনের অধীনে কার্যত কঠিন ছিল মহিলাদের পরিস্থিতি। একা বাড়ির বাইরে বেরোনোর অনুমতি ছিল না মেয়েদের। বাড়ির বাইরে যেতে হলে কোনও পুরুষকে সঙ্গে থাকতে হত। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রকাশ্যে চলত অত্যাচার, অপমান।
এখন আফগানিস্তানের প্রবীণদের আশঙ্কা, তালেবানরা তাদের মেয়েদের তুলে নিয়ে যাবে এবং জোর করে তাদের বিয়ে করবে, দাস বানিয়ে তুলবে।
আফগান প্রবীণ হাজী রোজি বেগ ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, তালেবানি দখলের পর থেকে আতঙ্কে রয়েছি। বাড়িতে জোর গলায় কথা বলতে পারি না, গান শুনতে পারি না এবং শুক্রবার বাজারে মহিলাদের পাঠাতে পারি না। তারা পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছে।
এক তালেবান সাব-কমান্ডার বলেছিলেন যে, ১৮ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের বাড়িতে রাখা উচিত নয়। এটা পাপ, তাদের অবশ্যই বিয়ে করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।